নিয়োগ দুর্নীতি আন্দোলনের মুখ ববিতা সরকারের নম্বরের গরমিলের তথ্য তিনি সমানে এসেছিলেন। অবশেষে ন্যায়ের জয়। ২০১৬ সালের নবম দশম শিক্ষক নিয়োগের প্যানেলে নম্বরের বিচারে যোগ্য প্রার্থী ছিলেন অনামিকা রায়। শিলিগুড়ির বাসিন্দা অনামিকা নম্বরের হিসাবে ভুলের তথ্য সামনে এনে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। তাঁর দাবি খতিয়ে দেখে মঙ্গলবার ববিতা সরকারকে বরখাস্ত করে অনামিকা রায়কে নিয়োগের নির্দেশ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের।এদিনের রায় শুনে উচ্ছ্বসিত অনামিকা। আবেগ ধরে রাখতে পারছেন না। বাড়ির ১০ কিলোমিটারের মধ্যে কোনও স্কুলে দু সপ্তাহের মধ্যে নিয়োগের নির্দেশ হাইকোর্টের। ৮ বছর ধরে বেসরকারি একটি স্কুলে চাকরি করছিলেন তিনি। অবশেষে এদিনের রায়ে তাঁর সরকারি চাকরির স্বপ্নপূরণ হল। তাঁর পরিশ্রমের ফল দেরিতে হলেও পাওয়ায় খুশি এসএসসি চাকরিপ্রার্থী অনামিকা রায়। এর জন্য বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে তিনি ধন্যবাদ দেন। অনামিকা বলেন, ”আমি স্কুলে যেতে পারব এর থেকে বড় খুশির খবর কিছু নেই। টাকা নিয়ে কী করব এখনও ভাবিনি।” Babita Sarkar: চাকরি পেতে ভুল তথ্য দেওয়ার অভিযোগ, ‘আন্দোলনের মুখ’ ববিতাকে বরখাস্তের নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের
চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে কমিশনের ভেরিফিকেশনের ভুলে ববিতা সরকার চাকরি পেয়েছেন অভিযোগ করে অনামিকা জানান, এসএসসি-এর নিয়ম অনুযায়ী মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক সহ সমস্ত এডুকেশনাল কোয়ালিফিকেশনের উপর কিছু নম্বর ধার্য করা আছে। সেই নিয়ম অনুযায়ী ববিতার এডুকেশনাল স্কোর দাঁড়ায় ৩১। কিন্তু কমিশনকে ববিতা জানান সেই স্কোর ৩৩। বাড়তি দুই নম্বরের জন্য র্যাঙ্কে এগিয়ে নিয়োগে সুবিধে পেয়েছিলেন ববিতা।
এসএসসি (School Service Commission)-এর দাবি করেছিলেন, আবেদনের সময় ববিতা উল্লেখ করেছিলেন তিনি স্নাতকে ‘৬০ শতাংশ বা তার বেশি’ নম্বর পেয়েছেন । কিন্তু ববিতা সরকারের নামে জমা হওয়া মার্কশিটে দেখা যায় স্নাতকে মোট নম্বর ৮০০-এর মধ্যে তিনি ৪৪০ পেয়েছেন অর্থাৎ ৫৫%। এতেই তাঁর অ্যাকাডেমিক স্কোর নির্ধারণে ভুল হয়েছে। এই ভুলের জেরে র্যাঙ্কে পিছিয়ে গিয়েছিলেন অনামিকা রায়। সংশোধিত তালিকায় প্রথমেই নাম আসে তাঁর। এর জেরে বাতিল হয়ে যায় ববিতা সরকারের নিয়োগ। সেই জায়গায় এদিন চাকরি পেলেন অনামিকা।
শুধু চাকরি নয়, একইসঙ্গে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষিকা হিসেবে ৪৩ মাসে মাইনেও নিয়োগের সঙ্গে সঙ্গে পাবেন অনামিকা। যার পরিমাণ ১৫ লাখ ৯২ হাজার ৮৪২ টাকা। দুর্নীতিতে জেরে মেখলিগঞ্জ ইন্দিরা গালর্স স্কুলে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষিকা হিসেবে এই টাকা আয় করেছিলেন প্রাক্তন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারী।
Cooch Behar News: মন্ত্রীকন্যাকে সরিয়ে চাকরি হয়েছে, ফের কোন সমস্যায় ববিতা?