নবান্ন সূত্রে খবর, কেন্দ্রের বৈঠকে রাজ্য কোনও প্রতিনিধি পাঠাবে কি না, তা নিয়ে প্রথমে দোলাচলে ছিলেন প্রশাসনের কর্তারা। কারণ, একশো দিনের কাজ এবং গ্রামীণ আবাস যোজনা-সহ বিভিন্ন প্রকল্পে টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্র। বকেয়া টাকা ছাড়ার জন্যে রাজ্যের তরফে একাধিক বার কেন্দ্রকে চিঠি দেওয়া হলেও কাজ হয়নি। প্রতিবাদে কেন্দ্রের বৈঠকে কোনও প্রতিনিধি পাঠানো হবে না বলেই প্রথমে ঠিক হয়েছিল। এ ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রীর সবুজ সংকেত পাওয়ার পরই শেষ পর্যন্ত পঞ্চায়েতসচিবকে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার বুধবার এই খবর জানিয়েছেন।
গ্রামোন্নয়নের কাজ পর্যালোচনায় বছরে সাধারণত দু’বার এ রকম বৈঠক হয়। তাতে মূলত পঞ্চায়েতসচিবরাই হাজির থাকেন। ২০২৪-এর লোকসভা ভোটের আগে সম্ভবত এটাই শেষ পর্যালোচনা বৈঠক। সেই সুযোগ হাত ছাড়া করতে রাজি নয় রাজ্য। নবান্নের এক আধিকারিক বলেন, ‘দিল্লির সঙ্গে রাজ্যের যতই বৈরিতা থাক, গ্রামোন্নয়নের কাজে আমরা আমাদের সাফল্য তুলে ধরতে চাই। এই সুযোগ সব সময় আসে না।’