সোমবার চুঁচুড়ার ঘড়ির মোড়ে বিজেপির সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শুভেন্দু। এর আগেও শুভেন্দু অধিকারী হুগলিতে এসে একাধিকবার তৃণমূলের জেলা নেতৃত্বদের দুর্নীতির কথা তুলে ধরেছেন শুভেন্দু। কখনও উত্তরপাড়ার চেয়ারম্যান দিলীপ যাদব আবার কখনও গোঘাটের তৃণমূল নেতা মানস মণ্ডল ছিল শুভেন্দু।
এদিন সরাসরি অসিতের বিরুদ্ধে নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ করেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, ‘ কম করে ১০০ চাকরি বিক্রি করেছে অসিত মজুমদার। তবে হুগলিতে নয় সে সমস্ত চাকরি বিক্রি হয়েছে বর্ধমানে। হুগলিতে কুন্তল, শান্তনু, অয়ন, এরা সবে শুরুওয়াত। দরজা খোলা হয়েছে, আগামীতে আরও তৃণমূলের নেতা মন্ত্রীরা হাজতে যাবেন।’
প্রথম থেকে আক্রমণাত্মক ছিলেন বিরোধী দলনেতা। অসিতকে নিশানা করে তিনি বলেন, ‘কী বিরাট নেতা হয়ে গেছে! এটাও চাকরি বিক্রি করেছে। নিজের এলাকায় নয় ১০০ বেশি চাকরি বেচেছে বর্ধমানে। আমার কাছে তালিকা আছে। গতকাল জ্ঞান দিয়েছে ভদ্র কথা বললে ভদ্র হবে , অভদ্র কথা বললে অভদ্র হবে। আবার বললাম পিসি চোর ভাইপো চোর সঙ্গে আপনিও চোর। আপনি কর্মচারী, আপনার মালিক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমি হারিয়েছি। আপনারা যদি থাকেন মমতাকে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী করে তবে ছাড়ব।’
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্যের পাল্টা চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার বলেন, ‘শুভেন্দু অধিকারীকে আয়নায় মুখ দেখতে বলুন। তৃণমূলে থাকাকালীন সময় সব চাকরি বিক্রির হোতা ছিলেন শুভেন্দু।’ এদিন শুভেন্দুর পালটা ঘড়ি মোড়ের সভা ডাক দিয়েছেন অসিত।
উল্লেখ্য, রাজ্যে একের পর এক বিস্ফোরণের ঘটনায় এদিন মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেন বিরোধী দলনেতা। তাঁরা দাবি, একের পর এক বিস্ফোরণ থেকে স্পষ্ট যে রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলা বলে আর কিছু নেই। একই সঙ্গে এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও নিশানা করেন শুভেন্দু। তাঁর দাবি যাবতীয় দুর্নীতির সঙ্গে অভিষেকের যোগ রয়েছে।