ছোটবেলায় বাবার হাত ধরে বাঙালির সেরা খেলা দেখথে গিয়েই মোহনবাগানের সঙ্গে পরিচয়। সেদিনের থেকেই শুরু ভালোবাসার। প্রথম মোহনবাগানকে দেখার দিন থেকে আজ মোহনবাগান দল যে অবস্থানে আছে,অর্থাৎ একের পর মোহনবাগানের জয় সবটাই বিশরপাড়ার এই বাসিন্দা ধরে রেখেছেন তাঁর তিনতলা বাড়িতে। থিম সম্পূর্ণ তাঁর হলেও তাতে রূপদান করেছেন গোপাল ভাস্কর ও তন্ময় মণ্ডল। ত্রিবেণীর দুই শিল্পীর কাজ দেখে মুগ্ধ হয়েই নিজেই যোগাযোগ করেছিলেন অয়ন। তারপর তাদের সঙ্গে দেখা করে নিজের স্বপ্নের সঙ্গে থিমের খুঁটিনাটি সবটাই ভাগ করে নিয়েছিলেন। সেই মতো দুই শিল্পীর হাতের ছোঁয়ায় বাস্তব অয়নের মোহনবাগানি স্বপ্ন।
“সব খেলার সেরা বাঙালির তুমি ফুটবল” গানের এই লাইনটি সারমর্ম বিশরপাড়ায় না এলে হয়তো বোঝা যাবে না। শুধু দলের খেলা দেখাই নয়,গতবছর কেদারনাথ গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে মোহনবাগানের পতাকা উড়িয়েছিলেন, সেই দৃশ্য বাড়ির একেবারে ছাদে ফুটিয়ে তোলে। অয়নের বাইক, চার চাকা গাড়ি সব জায়গায় আজ একটাই রঙ সুবজ মেরুন। এমনকী বাড়ির ভিতরে মোহনবাগান সেলফি জোনও আছে। অয়ন যেই পাড়ায় বসবাস করে, সেই পাড়ায় অয়ন একমাত্র মোহনবাগান সাপোর্টার, বাকি সবাই ইস্টবেঙ্গল সাপোর্টার। তারপরেও অয়নের এই ভালোবাসাকে কুর্নিশ না জানিয়ে পারেননি বাকিরা। বাড়িটি মোহনবাগান রূপে গড়ে তোলে অয়ন নিজে,তার জন্য পরিবারের সকলের পূর্ণসমর্থন ছিল।
এখানেই শেষ নয়, আরও বেশ কিছু চিন্তভাবনা আছে মোহনবাগানকে নিয়ে। ইতিমধ্যেই মোহনবাগান ক্লাবের অনেকেই যোগাযোগ করেছে অয়নের সঙ্গে,বাগান সচিব নিজে তার বাড়িতে আসবেন বলে কথা দিয়েছেন।
অয়নের সবচেয়ে পছন্দের খেলোয়াড় ব্যারেটো, তার সঙ্গে আছে আরও লম্বা লিস্ট। অয়ন নিজে একটা ফুটবল একাডেমিও চালায়, যেখান থেকে বহু খেলোয়াড়রা উঠে এসেছেন। আগামীদিনে মোহনবাগানকে নিয়ে অয়ন মল্লিকের অনেক স্বপ্ন আছে, যা ক্রমশঃ প্রকাশ্যে আসবে। তবে ওই এলাকা থেকে যেই যায় সে একবার দাঁড়িয়ে হলে বাড়ির দিকে চায়,কারণ সেটা বাড়ি নয় মোহনবাগান ক্লাবের প্রতিরূপ।