ডাক্তারের সংখ্যা কম নিয়ে অসন্তোষ ছিল জোকা ইএসআই হাসপাতালে। এর মধ্যে নতুন করে কোনও চিকিৎসক নিয়োগও হচ্ছিল না বলে অভিযোগ। এর মাঝেই রাতারাতি ৩৮ জন চিকিৎসককে বদলি করে দেওয়া হল জোকা ইএসআইসি হাসপাতাল থেকে। মেডিক্যাল ফ্যাকাল্টি কম থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন পড়ুয়ারা। কোনওভাবেই এত পরিমাণ অভিজ্ঞ চিকিৎসককে করা যাবে না দাবি তুলে বিক্ষোভ সামিল হন তাঁরা।
আন্দোলনরত পড়ুয়ারা দাবি করেন, যে কোনও ভার চিকিৎসকদের বদলি বন্ধ করতে হবে। আন্দোলনকারীরা বলেন, জোকা ইএসআই হাসপাতালে মেডিক্যাল ফ্যাকাল্টি যথেষ্ট কম রয়েছে। এর মধ্যেই যদি অভিজ্ঞ ডাক্তারদের বদলি করে দেওয়া হয় তাহলে পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যাবে।”
মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রছাত্রীরা জানান, অনেকেই অনেক আশা নিয়ে এই কলেজে ভর্তি হয়েছে। কষ্ট করে এডুকেশন লোন নিয়ে কলেজে ভর্তি হয়েছেন অনেক পড়ুয়ারা। এখন মাঝপথে পড়াশোনা থমকে গেল ক্ষতি হবে অনেকেরই। অভিজ্ঞ শিক্ষকরা চলে গেলে তার প্রভাব পড়বে পড়াশোনার উপর। সেটা কোনওমতেই হতে দিতে রাজি নন পড়ুয়ারা।
জোকা ইএসআই মেডিক্যাল কলেজের এক অধ্যাপক জানান, কলেজের প্রায় ৮০ শতাংশ ডাক্তারকে বদলি করে দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় সকলেই অবাক হয়েছেন। এই ঘটনার ফলে পড়ুয়াদের অনেক ক্ষতি হবে। পড়াশোনার উপর যথেষ্ট প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন অন্যান্য অধ্যাপকরাও।
মঙ্গলবার কলেজের প্রায় পাঁচশো পড়ুয়া কলেজ গেটের সামনে বিক্ষোভ দেখায়। এই সিদ্ধান্তের যে কোনও ভাবে বদল করতে হবে বলে দাবি করেন তাঁরা। বিষয়টি নিয়ে তাঁরা কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানিয়েছেন বলেও জানানো হয় পড়ুয়াদের তরফে। আগামী দিনে কী করে পড়াশোনা চলবে সেই নিয়ে আশঙ্কায় আছেন প্রত্যেকেই।
যদিও বিষয়টি নিয়ে আলাদা করে কিছু বলতে চায়নি মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। ডাক্তারদের বদলি করে দেওয়ার কারণে পড়ুয়ারা যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হবেন, তেমনি রোগীরাও বিপদে পড়বেন বলেও জানান অনেকে। পড়ুয়াদের ভবিষ্যত অন্ধকার হয়ে যাবে বলে মনে করছেন অনেকেই। এদিন দীর্ঘক্ষণ বিক্ষোভ দেখান পড়ুয়ারা।
