সেখানে নিয়ে গিয়ে দুই যুবক জোর করে তাঁর হাত ও পা চেপে রাখে ৷ অন্য এক যুবক তাঁকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ৷ ঘটনার পর ওই নির্যাতিতাকে ঘটনাস্থলে ফেলেই পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা৷ সকালবেলায় পরিবারের লোক তাঁকে পড়ে থাকতে দেখে উদ্ধার করেন৷ বাড়িতে নিয়ে গিয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের পর আসল ঘটনার কথা জানা যায়৷
তারপরেই এই ঘটনায় নির্যাতিতার মা কুলতলি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন৷ অভিযোগ, প্রতিবেশী যুবক সঞ্জিত বাগ নাবালিকাকে ধর্ষণ করে এবং রণজিত ভূঁইয়া ও দুধকুমার ভূঁইয়া তাকে সাহায্য করে৷ এই ঘটনায় ৩৭৬ ও পকসো ১ আইনে মামলা রুজু করেছে পুলিশ৷ বারুইপুরের এসডিপিও অতীশ বিশ্বাস এই বিষয়ে জানান, “ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সহ তিনজনকে আটক করা হয়েছে ৷ তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে”৷
পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে বলে জানান তিনি৷ এই বিষয়ে নির্যাতিতা নাবালিকার মা বলেন, “আনুমানিক রাত ১২টার পরে আমাদের মেয়ে বাথরুম করতে বাইরে যায়। সেই সময় ওই যুবকরা তাঁকে তুলে নিয়ে যায়। ভোরের দিকে যখন আমরা দেখি যে মেয়ে বাড়িতে নেই, তখন খোঁজাখুঁজি শুরু করতে তাঁকে পুকুর পাড়ে পাওয়া যায়।
বাড়িতে নিয়ে আসার পড়ে যখন মেয়ের জ্ঞান ফেরে, তখন সে আমাদের সব ঘটনা খুলে বলে। ওই যুবকদের আমাদের মেয়ে চিনতেও পেরেছে”। নির্যাতিতা নাবালিকাও ওই তিনজনের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছে। সে জানিয়েছে, “সঞ্জিত বাগ আমাকে ধর্ষণ করে আর বাকি ২ জন আমাকে ধরে রেখেছিল। আমি ওদের সবার কড়া শাস্তি চাই”।