শুধুমাত্র শালবনি নয়, জঙ্গলমহলের প্রতিটা কুড়মি গ্রামে ঠিক এই ভাবেই আন্দোলন সংগঠিত করার হুঁশিয়ারি দেয় ঘাঘর ঘেরা কেন্দ্রীয় কমিটি। আগামী দিনে আরও বড় আকারে এই আন্দোলন সংগঠিত করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদার কনভয়ে হামলার অভিযোগে শনিবারই নয়াগ্রামে পশ্চিমবঙ্গ ওড়িশা সীমান্ত থেকে গ্রেফতার করা হয় রাজেশ মাহাতো সহ একাধিক কুড়মি নেতাকে। আজই ধৃতদের পেশ করা হচ্ছে ঝাড়গ্রাম আদালতে।
আর এই ঘটনার পরেই জঙ্গলমহল জুড়ে আন্দোলন তীব্রতর করার হুশিয়ারি কুড়মি নেতৃত্বের। রাজ্য সরকার নিজেই দাঙ্গা লাগানোর চেষ্টা করছে জঙ্গলমহলে, এমনই দাবি ঘাগর ঘেরা কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুমন মাহাতোর।
ঘাঘর ঘেরা কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুমন মাহাতো বলেন, “রাজ্য সরকার ডবল স্ট্যান্ডার্ড পলিসি নিয়ে চলছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যেখানে বলছে, কুড়মিরা এই আক্রমণের ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়, সেখানে কী কারণে কুড়মি নেতাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। এটা রাজ্য সরকারের প্রতিহিংসামূলক মনোভাব।”
সেই কারণে শুধু এ রাজ্যের জঙ্গলমহল নয়, বাংলা, ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড সহ সমস্ত কুড়মি এলাকায় এই আন্দোলন ছড়িয়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন কুড়মি সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা। রাজ্য সরকার একাধারে বলছে, কুড়মি সম্প্রদায়ের মানুষ এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়, তারপরেও কুড়মি নেতাদের গ্রেফতারের ঘটনায় ‘চক্রান্ত’ রয়েছে বলে মত তাঁদের।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার রাতে ঝাড়গ্রামে গোপীবল্লভপুর যাওয়ার পথে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয়ে হামলার ঘটনা ঘটে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গাড়ি আনন্দলন স্থল থেকে বেরিয়ে গেলেও মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদার গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ইট, পাটকেল ছোড়ায় গাড়ির কাঁচ ভাঙে। সেদিন কর্মিসভা থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কুড়মি প্রতিনিধিদের ৪৮ ঘণ্টা সময়সীমা দেন দোষীদের চিহ্নিত করার জন্য। যদিও মুখ্যমন্ত্রীর নিজে জানান, এই ঘটনার সঙ্গে কুড়মি সম্প্রদায়ের কোনও যোগাযোগ নেই।