দরজা খুলেই গৌড় গোপাল বাবুর ঝুলন্ত মৃতদেহ দেখতে পায় পুলিশ কর্মীরা। দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় নাকাশিপাড়া প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে। মৃত্যুর আগে একটি সুইসাইড নোট লিখে আত্মঘাতী হয়েছেন তিনি বলে পুলিশ সূত্রের খবর।
তবে সূত্রের খবর, সুইসাইড নোটে স্থানীয় এক আইনজীবী এবং নাকাশিপাড়া থানার আইসির নাম লেখা ছিল বলে জানা যাচ্ছে। সুইসাইড নোটটা সবার মোবাইলে এলাকায় ঘুরছে। যদিও পুলিশ জানিয়েছে, এটা তাঁর হাতের লেখা কিনা তা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। জানা গিয়েছে, কোনও আসামীকে গ্রেফতার নিয়ে গৌর গোপাল বাবুর উপর চাপ আসছিল। সেই ঘটনার জেরেই আত্মহত্যা হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে।
যদিও গোটা ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। এ বিষয়ে কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কৃশানু রায় বলেন, “একজন এসআইয়ের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। একটি সুইসাইড নোট পাওয়া গেছে। কি লেখা আছে তা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।”
নিহত পুলিশ কর্মীর নাম আত্মীয় কল্যাণ রায় বলেন, “আজকে সকালে খবর পেয়ে আমরা এখানে ছুটে আসি। উনি আত্মহত্যা করেছেন। উনি কোনও মানসিক চাপের মধ্যে ছিলেন না, তবে কাজের সূত্রে কোনওরকম চাপ থাকতে পারে।” তবে গোটা ঘটনায় নাকাশিপাড়া পুলিশ মহলে শোরগোল শুরু হয়েছে। ঘটনার তদন্ত হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
যে আইনজীবীর নাম উঠে আসছে তিনি জানান, একটি বধূ নির্যাতনের কেসে তদন্তের কাজে নিহত পুলিশ কর্মী গৌড় গোপাল গঙ্গোপাধ্যায় নিযুক্ত ছিলেন। ওই মামলায় একজন আসামীকে দীর্ঘদিন ধরে উনি ধরছিলেন না। ফলত আইনজীবীর মক্কেল ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে নালিশ করে। গোটা বিষয়ে আইনজীবী কোনওভাবে যুক্ত নয় বলে তিনি জানান।