বিষয়টি লক্ষ্য হতেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন অনেক যাত্রী। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে রেল যাত্রী ও স্টেশনের যাত্রীদের মধ্যে। হাবরা প্ল্যাটফর্মে দাঁড় করিয়ে রেলের কর্মীরা আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেন। যদি ওই ঘটনায় কোনও হতাহতর খবর নেই। রেল কর্মীদের প্রাথমিক অনুমান রেলের চাকায় যে ব্রেক রয়েছে সেখান থেকেই ধোঁয়া বেরোতে শুরু হয়।
বন্ধন এক্সপ্রেস হল মূলত কলকাতা-খুলনা এক্সপ্রেস যেটি আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন যাত্রীবাহী ট্রেন। এই ট্রেনটি পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাংলাদেশ যাওয়ার একটি আন্তর্জাতিক ট্রেন। কলকাতা থেকে বাংলাদেশের খুলনা শহরের মধ্যে যাতায়াত করে এই ট্রেনটি। মৈত্রী এক্সপ্রেসের পাশাপাশি এটি দ্বিতীয় ট্রেন যা এই দুই দেশের মধ্যে চলাচল করে। দুই দেশের একাধিক নাগরিক এই ট্রেনের মাধ্যমে যাতায়াত করে।
এদিনও নিয়ম মাফিক এই ট্রেন চলাচলের সময় ট্রেনের চালায় আগুন লক্ষ্য করা যায়। ট্রেনের চাকায় আগুন দেখে ট্রেন থামিয়ে দেওয়া হয়। ছুটে যান রেল কর্মীরা। তড়িঘড়ি পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হয়। কী কারণে আগুন দেখা গিয়েছে, সেটি পরীক্ষা নিরীক্ষা করেন রেলের আধিকারিকরা।
এর আগেও মালদায় ট্রেনের চাকা থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়। গত ৬ মে আপ লাইনে 55702 আপ কাটিহার মালদা প্যাসেঞ্জার ট্রেনের যাত্রীদের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়ায়। কাটিহার থেকে মালদা ফেরার পথে আচমকা ট্রেনের নীচের অংশ থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়। যার ফলে আতঙ্কে ছড়িয়ে পড়ে যাত্রীদের মধ্যে।
ট্রেনের একটি বগির চাকা আটকে গিয়ে এই ধরনের বিপত্তি ঘটে। ট্রেনের চাকায় আগুনের ঝলকানি দেখা যায়। লাইন কর্মীরা বিষয়টি লক্ষ্য করে স্টেশন মাস্টারকে খবর দেন। সঙ্গে সঙ্গে ছুটে আসেন রেল কর্মীরা। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হয়। যাত্রীদের মধ্যে আশঙ্কা দেখা যায়। এই কারণে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস দাঁড়িয়ে পড়ে।