মুক্ত মঞ্চ পার্শ্ববর্তী এলাকা যেখানে রয়েছে বিভিন্ন সরকারি দফতর। কয়েক মিটার দূরত্বে রয়েছে জেলা প্রশাসনিক ভবন। এই রাস্তার উপর দিয়েই চলাচল করছেন বিভিন্ন সরকারি দফতরের আধিকারিকরা। কিন্তু বিষয়টি নজর পড়েনি কারোরই। আর সেই কারণেই বিগত তিন দিন ধরে দেশের জাতীয় পতাকার বেহাল দশা। ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় কলেজ ছাত্র থেকে স্কুল শিক্ষিকা থেকে সাধারণ মানুষ।
জাতীয় পতাকার ব্যবহার ভারতীয় পতাকাবিধি ও জাতীয় প্রতীক-সংক্রান্ত অন্যান্য আইন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। কিন্তু কোথায় আইন? কোথায় পতাকাবিধি? তিন দিন ধরে কীভাবে বেহাল দশায় পড়ে রয়েছে জাতীয় পতাকা? তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। পতাকাটির দায়িত্বে রয়েছে মালদা ক্লাব। ক্লাবের সম্পাদক অশোক চিতলাঙ্গিয়া বলেন, “কয়েকদিন আগে ঝড়ে পতাকা টাওয়ারের মাথায় জড়িয়ে যায়। আমরা এটাকে বদল করে দিই। বদল করার লোককে ডাকার পর জানায় এটার জন্য ক্রেন লাগবে। বিষয়টি আমরা অতিরিক্ত জেলাশাসককে জানিয়েছি। খুব শীঘ্রই ওটা বদলের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।”
জেলা প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপি দক্ষিণ মালদা সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক অম্লান ভাদুড়ি। তিনি বলেন, “আমরা ভারতবর্ষের বাসিন্দা আমাদের যে দেশপ্রেম তা বর্তমান প্রশাসনিক আধিকারিকদের মধ্যে নেই। আর সেই কারণেই এই পরিস্থিতি।” স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “এটাকে যত দ্রুত সম্ভব বদল করা উচিত। এভাবে রাখা উচিত নয়।”
জেলা কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি কালী সাধন রায় বলেন, “বর্তমান সরকারের আমলের আইএস, আইপিএস রা শাসক দলকে তেল মারতেই ব্যস্ত কোনটা জাতীয় পতাকা কোনটা দলীয় পতাকা তাও খেয়াল রাখেনা।” সিপিএমের জেলা সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য কৌশিক মিশ্র বলেন, “জেলা প্রশাসনিক ভবন থেকে মাত্র কয়েক মিটার দূরত্বে এই পতাকা রয়েছে। জনগণের ট্যাক্সের টাকায় সরকারি আধিকারিকরা এসি গাড়ি চড়ে ঘুরে বেড়াবেন। রাষ্ট্রীয় মর্যাদার প্রতীক জাতীয় পতাকা এই অবস্থায় থাকবে তা মেনে নেওয়া যায় না।”
অন্যদিকে, তৃণমূল জেলা সহ সভাপতি শুভময় বসু বলেন, “একজন দেশের নাগরিক সমাজের নাগরিক হিসেবে অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই বিষয়টির উপর গুরুত্ব দিয়ে সমাধান এর ব্যবস্থা করা হবে।”