আর একথা ক্যামেরার সামনে অকপট স্বীকারোক্তি করেছেন সোনালী নার্সিংহোমের কর্ণধার ইমরান খান। তিনি বলেন, “এলাকায় অনেকেই কোনও নদীর পাড় অবৈধভাবে দখল করে বাড়ি তৈরি করেছেন। তাঁদের দেখেই আমিও বাড়ি তৈরি করছিলাম। আমার প্রয়োজন ছিল। কিন্তু প্রশাসন আমাকে নির্মাণ কাজে বন্ধ করতে বলেছে”।
আরও এক ধাপ এগিয়ে BJP-র কুলতলির জেনারেল সেক্রেটারি তারাপদ পাল বলেন, “যেখানে ম্যানগ্রোভ ছিল না সেখানে বাড়ি করেছি। আর যেখানে ম্যানগ্রোভ রয়েছে সেখানেও আগামী দিনে বাড়ি হবে”। তবে এই জায়গাটি আগে তিনি পাট্টা পেয়েছেন বলে দাবি করেন।
এলাকার মানুষের অভিযোগ, বেআইনিভাবে নদীবক্ষ থেকে মাটি কেটে, ম্যানগ্রোভ কেটে তৈরি হচ্ছে বাড়ি। প্রশাসন নিষেধ করলেও তাতে কান দিচ্ছে কে! স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, “বেশ অনেকদিন ধরেই এই কার্যকলাপ চলছে। প্রশাসনকে আমরা জানিয়েছি, তখন বলা হয়েছে তাঁরা নাকি নির্মাণ করতে বারন করেছেন।
কিন্তু শুধু এভাবে মুখে বলে দিলে হবে না। কড়া ব্যবস্থা না নিলে কে কথা শুনবে”! এই বিষয়ে কুলতলির বিধায়ক গনেশ চন্দ্র মণ্ডল বলেন, “পরিবেশ ধ্বংস করে কোথাও বাড়ি বা অন্য কোনও কাজ করতে দেওয়া হবে না। বন দফতর ও পুলিশ প্রশাসনকে কড়া ভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে রাজনৈতিক দলের নেতা বা কর্মী বা সাধারন মানুষ ম্যানগ্রোভ অথবা নদী নষ্ট করবে, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে”।
কুলতলির CPIM এরিয়া কমিটির সম্পাদক উদয় মণ্ডল অভিযোগ করেন, “তৃণমূল সব পারে, প্রশাসনের নাকের ডগায় কিভাবে নদী চুরি হচ্ছে! আসলে তৃণমূল জড়িয়ে রয়েছে বলেই প্রশাসন ব্যবস্থা নিচ্ছে না”।