মঙ্গলবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সকলের সঙ্গে নয়, কিছু কিছু লোক আপিল করেছিলেন। আমি তাঁদের কিছু কথা বলব।’ হালফিলে ডিএ, শূন্যপদে নিয়োগ-সহ নানা দাবি নিয়ে বিরোধী কর্মী সংগঠনগুলির আন্দোলনের প্রেক্ষিতে আজকের এই বৈঠক অর্থবহ বলেই মনে করছে প্রশাসনিক মহল।
সূত্রের খবর, আজকের আলোচনায় বেশ কিছু ‘সুখবর’ মিলতে পারে কর্মচারীদের। বিশেষ করে পদোন্নতির ক্ষেত্রে অন্যতম জরুরি শর্ত হিসেবে ক্যাডার পুনর্গঠনের ক্ষেত্রে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ব্যাপারে রাজ্য সরকার বেশ কিছুদিন ধরেই ভাবনাচিন্তা করছিল। বর্তমানে ওয়েস্ট বেঙ্গল সেক্রেটারিয়েট সার্ভিসের আওতায় একজন এলডিসি পদমর্যাদার কর্মীর জয়েন্ট সেক্রেটারি পদ পর্যন্ত উন্নতির সম্ভাবনা রয়েছে।
পদোন্নতির এই স্তরটি অ্যাডিশনাল সেক্রেটারি বা স্পেশাল সেক্রেটারি পর্যন্ত করার ব্যাপারে দীর্ঘদিনই দাবি রয়েছে কর্মীদের। তা হওয়ার সম্ভাবনা উজ্জ্বল বলেই খবর। ফেডারেশনের নেতা প্রতাপ নায়েক বলেন, ‘রাজ্য সরকারের উন্নয়ন কর্মসূচির সৈনিক হিসেবে আমরা মুখ্যমন্ত্রীর উপরে ভরসা রাখি।’
এই বৈঠকের ব্যাপারে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের কনভেনর ভাস্কর ঘোষের কথায়, ‘মুখ্যমন্ত্রী নিজের দলের কর্মী সংগঠনের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন। অথচ আমরা গত ২৭ মার্চ তাঁর সঙ্গে ডিএ এবং অন্যান্য দাবি নিয়ে আলোচনার জন্য বসার আর্জি জানিয়েছিলাম। তিনি এই আবেদনে সাড়া দিলেন না।’ বিজেপি সমর্থিত রাজ্য সরকারি কর্মচারী পরিষদের সভাপতি দেবাশিস শীলের মতে, ‘ডিএ মামলা শুরু হওয়ার পরে সমাধানসূত্র খুঁজতে মুখ্যমন্ত্রী তো ঢের আগেই সবক’টি সংগঠনের সঙ্গে বসতে পারতেন।’
রাজ্য কোঅর্ডিনেশন কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ গুপ্ত চৌধুরীর মতে, ‘আমরা যারা কর্মচারী স্বার্থে লড়াই করছি, তারা বারবার আর্জি জানালেও মুখ্যমন্ত্রী আলোচনায় বসেন না। এ তো মনে হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী তাঁর দল ও সরকারের স্বার্থেই নবান্ন সভাগৃহে ফেডারেশনকে ডেকেছেন।’