শুক্রবার রাতের তিন দশকের সবথেকে বড় ট্রেন দুর্ঘটনা। অভিশপ্ত করমণ্ডল এক্সপ্রেস ও দুর্ঘটনাগ্রস্থ যশবন্তপুর-হাওড়া সুপারফার্স্ট ট্রেনে ছিলেন এরাজ্যের বহু মানুষ। এখনও অনেকে নিজের পরিজনদের খোঁজ পাননি। তাই নিঁখোজ পরিজনের খোঁজে অনেকেই পাড়ি দিচ্ছেন এবার বালেশ্বরে। ওই ট্রেনে থাকা অনেকের আত্মীয় আবার সাংঘাতিক আহত। তাদের ঘরে ফেরাতে বাংলা থেকে বহু মানুষ বালেশ্বর যাওয়ার ট্রেন খুঁজছেন। তাদের জন্যেই রেলের এই ব্যবস্থা।
তবে এই ট্রেন নিয়ে সামনে আসছে একাধিক অভিযোগ। প্রত্যক্ষদর্শী এক যাত্রীর দাবি, ওই ট্রেনে বালেশ্বরে দুর্ঘটনাগ্রস্থদের পরিজনরা নয়, বরং সাধারণ যাত্রীদেরই রমরমা। দাবি, এই ট্রেনে আহত কিংবা মৃত যাত্রীদের পরিবারের লোকজনরা যাননি। তাদের থেকে অনেক বেশি সাধারণ যাত্রীকে এদিন এই ট্রেনে চেপে যেতে দেখা গেল। এমন সময়েও দুর্ঘটনাগ্রস্থদের আত্মীয়দের অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে না বলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন অনেকে। এই নিয়ে অভিযোগ জানানো হয় রেলের কাছেও।
এপ্রসঙ্গে দক্ষিণ পূর্ব রেলের ডিভিশনাল চিফ ট্রান্সপোর্টেশন ইন্সপেক্টর নির্মাল্য বর্মন জানান, ”দুর্ঘটনার কবলে পড়া যাত্রীদের পরিবারের জন্য এই ট্রেন চালানো হলেও যেহেতু প্রত্যেকটা স্টেশনে এই ট্রেন থামবে তাই সাধারণ যাত্রীরাও এখানে যাচ্ছে।রেলের তরফ থেকে স্পেশাল ট্রেন পেয়ে খুশী যাত্রীরা। কারণ- ওই রুটে একাধিক ট্রেন বাতিল হওয়ায় সমস্যায় পড়েছেন যাত্রীরা।”
শুক্রবার সন্ধেয় ওডিশার বালেশ্বর স্টেশনের কাছে ঘটে শতাব্দীর সবথেকে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা। একসঙ্গে দুর্ঘটনার মুখে পড়ে একটি মালগাড়ি সহ দুটি প্যাসেঞ্জার ট্রেন। ১২৮ কিমি বেগে ছুটে আসা করমণ্ডল এক্সপ্রেস বাহানাগা বাজার স্টেশনের কাছে আচমকা আপ লাইন থেকে লুপ লাইনে ঢুকে মালগাড়িকে ধাক্কা মারে। ট্রেনের ইঞ্জিন উঠে যায় মালগাড়ির উপর। করমণ্ডলের পিছনের সমস্ত বগিগুলি খেলনা গাড়ির মতো ট্র্যাক থেকে ছিটকে পড়ে। এই ঘটনার ফলে বেলাইন হয়ে যায় হাওড়ামুখী যশবন্তপুর-হাওড়া এক্সপ্রেসের পিছনের চারটি বগি। ঘটনায় মৃতের সংখ্য়া ২৭৫ এবং আহতের সংখ্যা ১০০০ ছাড়িয়েছে।