সাগরদিঘির উপ নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর পীরজাদা ত্বহা সিদ্দিকী বলেন, “সাগরদিঘিতে তৃণমূলের প্রার্থী নির্বাচন কে করেছে? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নাকি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ৯৯ শতাংশ মানুষ বলছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হলে এটা করতেন না। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রার্থী নির্বাচন করেছে।” তাঁর এই মন্তব্যের শোরগোল পড়ে যায়।
এদিন হুগলি জেলায় নব জোয়ার কর্মসূচি শুরু করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। জাঙ্গীপাড়ার প্রয়াত পীর আবু বকর সিদ্দিকির মাজার পরিদর্শনে যান তিনি। এরপর ফুরফুরা শরীফ পরিদর্শনে যান অভিষেক। সেখানে ফুরফুরা শরীফ উচ্চ পদস্থ নেতৃত্বের সঙ্গে অভিষেকের দীর্ঘক্ষণ বৈঠক হয়।
অভিষেক বেরিয়ে বলেন, “আমি কিছু বলব না। ত্বহা সিদ্দিকী সাহেব যা বলার বলবেন। এখানে প্রায় পাঁচ ছয় বছর পর এলাম। এখানে এলে নিশ্চিতভাবে আলাদা একটা শক্তির সঞ্চার হয়। লড়াইয়ের একটা মানসিকতা পাওয়া যায়। আগামী দিনে সেই মানসিকতা নিয়ে আমরা সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করবে।”
অন্যদিকে, এদিন ত্বহা সিদ্দিকী বলেন, “মানুষের সঙ্গে মানুষের জন্য যাঁরা কাজ করবেন, তাঁদের সঙ্গে ছিলাম-আছি-থাকবো। মানুষের যাঁরা মানুষকে ধোঁকা দেবে, তাঁদের সঙ্গে আমরা নেই।” নব জোয়ারে মানুষের সঙ্গে থেকে অভিষেক নিশ্চয়ই সাফল্য পাবেন বলেও জানান তিনি।
সাগরদিঘির উপ নির্বাচনের পর সংখ্যালঘু সমর্থন নিয়ে তৃণমূলকে খোঁচা দেওয়া শুরু করেছিল বিরোধীরা। শাসক দলের থেকে সংখ্যালঘু সমর্থন সরে যাচ্ছে বলে মত প্রকাশ করেন অনেকেই। শাসক দল থেকে ফুরফুরা শরীফের দূরত্ব তৈরি হচ্ছে। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল। সেই ক্ষোভে প্রলেপ দিতেই কি এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বৈঠক করেন? ফের প্রশ্ন উঠেছে।
এর আগে সাগরদিঘি ফলের পর ত্বহা সিদ্দিকীকে বলতে শোনা যায়, “তৃণমূলের জন্য যে সংখ্যালঘুরা এত বছর লড়েছেন, তাঁদেরকে দল থেকে দূরে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে৷ যাঁরা প্রাণ দিয়ে লড়েছে, তাঁদের ডানা ছাঁটা হচ্ছে৷” তবে এদিনের বৈঠকের পর অভিষেক রাজনীতি সম্বন্ধিত কোনও বিষয় নিয়ে কিছু বলতে চাননি। বিষয়টি নিয়ে ত্বহা সিদ্দিকী যা বলার জানাবেন বলে তিনি জানান।