Sutapa Sushant Case: ‘সুতপাকে চিনতাম না’, আদালতে দাবি সুশান্তর – sushanta chowdhury says he did not know any sutapa chowdhury in asansol court


গ্রেফতারির পর হাড় হিম করা স্বীকারোক্তি! ক্যামেরার সামনে তরুণ একটুও গলা না কাঁপিয়ে বলেছিল, “ওর বাবা মা মানসিকভাবে হেনস্থা করছিল, তাই মেরেছি।” এরপর তাকে সেখানে থেকে সরিয়ে নিয়ে যান পুলিশকর্মীরা।

সুতপা চৌধুরী হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত সেই সুশান্ত চৌধুরীই আদালতে নিজের মন্তব্য থেকে সরে গেল। বুধবার বহরমপুর আদালতে দাঁড়িয়ে সে দাবি করল সুতপাকে কোনওদিন চিনতই না সে। এমনকী, খুনের সময় ঘটনাস্থলে ছিল না, এই দাবিও জানায় যুবক।

Sukanya Mondal Latest News: ক্যানসারে আক্রান্ত বান্ধবীকে বাঁচাতে ঝাঁপিয়েছিলেন সুকন্যা, অনুব্রত কন্যার ‘দুর্দিনে’ কোথায় সেই সুতপা?
এদিন বহরমপুরের ফার্স্টট্র্যাক কোর্টের বিচারক সন্তোষ কুমার পাঠকের এজলাসে সুশান্তকে প্রশ্ন করেছিলেন বিচারক। দুই জন প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ানের প্রেক্ষিতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় সুশান্তকে। সেখানেই তিনি জানান, সুতপাকে তিনি চিনতেন না। প্রসঙ্গত, গত বছর ২ মে-র ঘটনা। বহরমপুরে ঘটে যায় চাঞ্চল্যকর ঘটনা, মেসের সামনেই ছুরি দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপানো হয় সুতপাকে।

জানা যায়, সেই সময় অভিযুক্তের হাতে ধরা ছিল একটি বন্দুক। যা আসল নাকি নকল প্রত্যক্ষদর্শীরা বুঝতে পারেননি। ঘটনায় মূল অভিযুক্ত হিসেবে উঠে আসে সুশান্তের নাম। জানা যায়, তাঁর এক এলাকার বাসিন্দা ছিল এবং তাঁদের ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্ব ছিল। কিন্তু, ধীরে ধীরে সুশান্তর থেকে সরে আসতে চেয়েছিল সুতপা, দাবি ছিল তাঁর পরিবারের।

Partha Chatterjee Arpita Mukherjee : পার্থর প্রবল প্রতিপত্তি এড়ানো সম্ভব ছিল না অর্পিতার, দাবি আইনজীবীর
পুলিশের তদন্তে উঠে এসেছিল, সুতপার এই সরে আসাই মেনে নিতে পারেনি সুশান্ত। তার সোশ্যাল মিডিয়াজুড়ে ছিল হতাশামূলক একাধিক পোস্ট। আর পোস্টগুলি অত্যন্ত অর্থবহ বলে মনে করা হচ্ছিল। পুলিশের তদন্তে সেই সময় উঠে এসেছিল, বহরমপুরেই একটি মেস ভাড়া করে খুনের ঘটনার কিছুদিন আগে থেকে থাকছিলেন সুশান্ত।

Gangster Sanjiv Maheshwari: ফিরল আতিক স্মৃতি! যোগী পুলিশের চোখের সামনেই আদালতে গুলিতে ঝাঁঝরা গ্যাংস্টার
সেখান থেকেই সে সুতপাকে হত্যার ছক কষেছিল বলে অনুমান ছিল তদন্তকারীদের। এমনকী, গ্রেফতারির পর সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরার সামনে তার স্বীকারোক্তি ছিল, “আমিই ওকে খুন করেছি। ওর বাবা-মা আমাকে মানসিকভাবে হেনস্থা করছিল। আদালত যা শাস্তি দেবে তা মাথা পেতে নেব।”

এরপরেই কার্যত কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা যায় সুতপার বাবাকে। তিনি বলেন, “মেয়ে ওর সঙ্গে কোনও যোগাযোগ রাখতে চাইনি। তাই আক্রোশে শেষে ওকে মেরেই ফেলল।” সুতপার খুনির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছিলেন তাঁর বাবা। কিন্তু, এবার আদালতে নিজের বক্তব্য থেকে সরে দাঁড়ান সুশান্ত। তাঁকে সাক্ষীদের বয়ান প্রসঙ্গে বিচারক প্রশ্ন করলে সুতপাকে হত্যার বিষয়টি অস্বীকার করেছে সে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *