একথা বলেই বিধায়ক প্রচার করে বেড়াচ্ছেন এলাকা জুড়ে। নিজে হাতে মাইক নিয়ে নিজেই প্রচার করছেন তিনি। আর এই অভিনব দৃশ্য দেখতে ভিড় করছেন সাধারণ মানুষ। প্রসঙ্গত ২০১৩ সালের নির্বাচন ও ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত দুটি নির্বাচনেই এই লাভপুর বিধানসভা এলাকার পঞ্চায়েতগুলি কার্যত বিরোধী শূন্য হয়ে গিয়েছিল।
কোনও বিরোধী রাই নমিনেশন ফাইল পর্যন্ত করতে পারেননি। তাই যাতে বিরোধীরা শাসকদলের ওপর কোনোভাবে দোষারোপ করতে না পারে তার জন্যে বিধায়ক নিজে নামলেন রাস্তায়। ঘটনাচক্রে এই অভিজিৎ সিংহ একটা সময়ে অনুব্রত মণ্ডলের অত্যন্ত বিশ্বস্ত ছিলেন।
আর অনুব্রত মণ্ডল জেলার সর্বময় কর্তা থাকাকালীনও ওই ভোটগুলি পরিচালনা করা হয়েছিল। এই প্রচারের বিষয়ে বিধায়ক অভিজিৎ সিংহ বলেন, “ভোট হচ্ছে গনতন্ত্রের উৎসব। এই উৎসবে সবার অংশগ্রহন করা উচিৎ। বিশেষ করে আমি বিরোধীদের বলব, আসুন। এসে ভোটে দাঁড়ান, মনোনয়ন জমা করুন। কেউ কোনও বাধা দেবে না। আর যদি কোনও বাধা বিপত্তির সম্মুখীন হতে হয়, তাহলে প্রশাসনকে জানান, আমাকেও জানান। দলের তরফে সেই কর্মীর বিরুদ্ধে আমি ব্যবস্থা নেওয়া করাবো, আর প্রশাসনকে দিয়েও কড়া ব্যবস্থা নেওয়া করাবো। সুস্থ পরিবেশে ভোট হোক এটাই আমি চাই।”
তিনি আরও বলেন, “এবারের ভোটেও তৃণমূল কংগ্রেস ব্যাপকভাবে জয়লাভ করবে। মানুষ সবসময় তৃণমূল কংগ্রেস ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আশীর্বাদ করেছেন, এবারও করবেন।”
যদিও বিরোধীরাদের অভিযোগ গতকালই লাভপুরে BJP কর্মীদেরকে মারধর করা হয়েছে নমিনেশন ফাইল করতে আসার পথে। আর সেই আক্রমণ করেছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। তাই এই অভিযোগ পাওয়ার পরেই কি বিধায়কের এমন উদ্যোগ? যদিও এই প্রশ্নের সরাসরি কোনও উত্তর মেলেনি।