বিষয়টি নিয়ে বিজেপির জেলা সভাপতি প্রদ্যুত বৈদ্য জানান, প্রশাসন বিজেপির প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা করতে সমস্যা করছে। সেজন্য বিজেপির পক্ষ থেকে এলাকায় ড্রোন ক্যামেরা উড়িয়ে নজরদারি করছিল। অবশ্য উড়তে থাকা ড্রোনটি পুলিশ নামিয়ে তা বাজেয়াপ্ত করেছে।
বিজেপির মথুরাপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি প্রদ্যুত বৈদ্য বলেন, ” মথুরাপুর ব্লকে বিজেপি যত মনোনয়ন জমা দেয়, তাতে বাধা দেওয়া হয়। পুলিশ একেবারে অপারগ হয়ে গিয়েছে। পুলিশ দলদাসে পরিণত হয়েছে।” তবে ড্রোন কেন পুলিশ বাজেয়াপ্ত করল, ড্রোন ওড়াতে দিল না তা আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করব। প্রয়োজন হলে আমরা ওখানে আন্দোলনে বসব।
নিয়মমাফিক সোমবার সকাল থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলার মথুরাপুর ১ ব্লকে মনোনয়ন জমা দেওয়ার কাজ শুরু হয়। লাইন বজায় রেখে চলে মনোনয়ন প্রক্রিয়ার কাজ। এর মাঝেই মনোনয়ন কেন্দ্রের আশেপাশে আকাশের হঠাৎ একটি ড্রোন উড়তে দেখা যায়। প্রথমে উপস্থিত লোকজন অনুমান করেন, প্রশাসনের তরফেই হয়তো এই ড্রোন ওড়ানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।
পুলিশের নজরে আসতে বিষয়টি নিয়ে তদারকি শুরু হয়। দেখা যায়, বিজেপির তরফে এই ড্রোন ওড়ানোর হয়েছে। এরপরেই ড্রোনটিকে নামিয়ে আমার জন্য ব্যবস্থা করা হয়। ড্রোনটিকে বাজেয়াপ্ত করা হয় পুলিশের তরফে। নিরাপত্তার খাতিরেই ড্রোনটি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, রবিবার বিরতির পর সোমবার থেকে ফের মনোনয়ন প্রক্রিয়ার কাজ শুরু হয়েছে জেলায় জেলায়। সোমবার সকাল থেকেই একাধিক জায়গায় অশান্তির খবরও উঠে এসেছে। পূর্ব বর্ধমান জেলার বড়শুলায় এদিন সিপিএম এবং তৃণমূলের মধ্যে খণ্ডযুদ্ধ লাগে। দুই পক্ষের ঝামেলার কারণে আহত হন একাধিক পুলিশ কর্মী। ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য।