ঘটনার এই মূহুর্তে CBI তদন্ত চলছে। অন্যদিকে, মর্মান্তিক ঘটনার এক বছর পূর্তিতে এলাকায় এসে শহীদ বেদি করে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল মৃতের পরিবারকরকে সমবেদনাও জানায়। রাজনৈতিক চাপানউতর চলছিল তখন থেকেই। এবার সেই বগটুই গ্রামে জোর লড়াই বিজেপির।
ঘটনার পরেই বগটুই-এ স্বজনহারা পরিবার পক্ষ থেকে মিহিলাল শেখ বিজেপিতে যোগদান করেন শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে। আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে মিহিলাল শেখের পরিবার এবার সেই বগটুই এলাকা যা তৃণমূলের শক্ত ঘাটী নামে পরিচিত সেখানে তৃণমূলের বিরুদ্ধে পঞ্চায়েত নির্বাচনে লড়ার জন্য মনোনয়ন পত্র দাখিল করলেন বিজেপির হয়ে।
আজ রামপুরহাট এক নম্বর ব্লকে এসে মিহিলাল সেখ সহ তার পরিবার গ্রাম পঞ্চায়েত এবং পঞ্চায়েত সমিতি থেকে বিজেপির হয়ে ভোটে মনোনয়ন করেন। মিহিলাল শেখ বলেন “সোমা বিবি মনোনয়ন করেছেন আরও ১জন মনোনয়ন করবেন।”
তাঁর পরিবার তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়বে বলে জানানো হয়েছে। জয়ের ব্যাপারে সম্পূর্ণ বিশ্বাসী তিনি। তিনি আরও বলেন, “বগটুই মানুষ বিজেপির পাশে আছেন।” রাজনৈতিক মহলের মতে, বগটুইয়ের সেই মর্মান্তিক ঘটনার পর থেকেই শাসক দলের প্রতি একটা ক্ষোভ জন্মাতে শুরু করে এলাকাবাসীর একাংশের।
সেই ক্ষোভকে কাজে লাগিয়েই নিজেদের জমি শক্ত করতে শুরু করে বিজেপি। মার্চ মাসে ঘটনার এক বছর পূর্তিতে তৃণমূল এবং বিজেপি উভয়েই এলাকায় নিহতদের পরিবারকে সম্মান জানানোর ব্যবস্থা করেন। তেমনই বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার তথা রামপুরহাটের তৃণমূল বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে বাধার সম্মুখীন হন।
সব মিলিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক উত্তাপ বাড়তে শুরু করেছে বগটুই গ্রামে। দীর্ঘদিন ধরেই পঞ্চায়েত স্তরে তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ছিল এই এলাকা। এবার সেখানেই কী পদ্ম ফুল ফুটতে চলেছে, তার জবাব মিলবে আগামী ১১ জুলাই। ফলাফলের দিকে তাকিয়ে গোটা গ্রাম।