সশীরের হাজির না থাকলেও, বোলপুর থেকে সাঁইথিয়া, তাঁকে নিয়ে চর্চা সর্বত্রই। কিন্তু, অনুব্রতর গ্রেফতারির পর বদলে গিয়েছে বীরভূমের রাজনীতির বহু সমীকরণ। জেলা রাজনীতিতে তাঁর ঘনিষ্ঠরাও এখন প্রকাশ্যে এড়িয়ে যাচ্ছেন ‘কেষ্ট প্রসঙ্গ’। ব্যতিক্রম নন লাভপুরের তৃণমূল বিধায়ক অভিজিৎ সিনহা ওরফে রানা।
বিধায়কের তুলনায় অভিজিৎ অনেক বেশি পরিচিতি পেয়েছেন ‘কেষ্টদা’-র ছায়াসঙ্গী হিসেবে। কিন্তু এবার পঞ্চায়ত ভোটের আগে সেই রানাই প্রিয় কেষ্টদাকে নিয়ে অনেক বেশি সাবধানী। অভিজিৎ কি অনুব্রতর অনুপস্থিতি মন থেকে মেনে নিতে পেরেছেন? মিস করছেন কেষ্টদাকে?
এই সময় ডিজিটালের প্রশ্নে মুখ খুললেন জেলা তৃণমূল কোর কমিটির এই সদস্য। অভিজিৎ বলেন, ‘এভাবে এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়া সম্ভব নয়। কারণ উনি একটি আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছেন। আমি দাদার ভাই হিসেবে বলছি, এই বিষয়ে কোনও উত্তর দেওয়াটা বোধহয় ঠিক হবে না। এর মধ্যে আমার না যাওয়াটাই ভালো।’
প্রসঙ্গ এড়িয়ে অভিজিৎ বলেন, ‘জেলার রাজনীতিতে এখন কোর কমিটির মধ্যে দিয়েই সবটা হচ্ছে। কোর কমিটি দল নিয়ে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। আমিও সেই কমিটির একজন সদস্য। সবার রাজনীতির স্টাইল একরমক নয়। কেউ নিজের রাজনৈতিক কায়দায় বক্তব্য রাখেন। সবার বক্তব্য তো আর একরকম হয় না। প্রত্যেক মানুষ আলাদা। কখনও কখনও রাজনৈতিক পরিস্থিতি বদলায়। এখন যা পরিস্থিতি তাতে কোর কমিটির মাধ্যমেই আমাদের সবটা করতে হচ্ছে।’
অনুব্রত মণ্ডলের অনুপস্থিতি কোনও প্রভাব ফেলবে? এই প্রশ্নের জবাবে তৃণমূল বিধায়ক বলেন, ‘এখন জেলায় এককভাবে কোনও বিষয় নেই। জেলা সভাপতি থাকলে সব দায়িত্বটাই তাঁর উপর বর্তায়। তিনি তাঁর টিম নিয়ে কাজ করেন। তিনি যখন থাকেন না, তখন তো দায়িত্ব ভাগ করে নিতে হয়। সেই কারণে দল কোর কমিটি করে দিয়েছে। কোর কমিটি গোটা বিষয়টা সামলাচ্ছে। অঞ্চল ও বুথ স্তরেও ব্যাপারটা একইরকম।’