Purulia Weather : স্বস্তির সন্ধানে খোঁজ মাটির বোতলের – huge demand in clay bottle at purulia on summer weather


এই সময়, পুরুলিয়া: একেবারে টি টোয়েন্টির ঢংয়ে ব্যাটিং করছে গরম। বৃষ্টির দেখা নেই। তাপমাত্রা ছুঁয়েছে ৪৪ ডিগ্রির পারদ। এই পরিস্থিতিতে প্রাণ জুড়োচ্ছে মাটির ফ্লাস্ক। সেই ফ্লাস্কের বিক্রিতে রমরমা কারবার পুরুলিয়ায়।

শহর থেকে একেবারে প্রত্যন্ত গ্রাম, সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে চাকরিরতা তরুণী, সবার এখন ভরসা বিশুদ্ধ মাটির তৈরি এই বিশেষ বোতলে। অনেকেই মজা করে একে ভ্রাম্যমাণ কান্ট্রি (দেশি) ফ্রিজ বলছেন। মূলত পুরুলিয়া জেলার কোটলুই এবং পাথরডি গ্রামে তৈরি হয় জল রাখার এই পাত্র।

Miyazaki Mango Price : বেচতে হবে কিডনি-লাগবে ব্যাঙ্ক লোন! বিশ্বের সবচেয়ে দামি মিয়াজাকি আমের কিলো কত জানেন?
কোটলুই গ্রামের কুম্ভকাররা জানাচ্ছেন, কুঁজোর জন্য যে মাটি ব্যবহার করা হয়, মাটির বোতলেও প্রায় সেই মাটিই লাগে। একটু বালির ভাগ কম রাখা হয় এক্ষেত্রে। মাটির বোতলগুলিতে প্রায় এক লিটার জলধারণ ক্ষমতা রয়েছে।

রয়েছে মাটির তৈরি বিশেষ ঢাকনাও। গরমের কথা মাথায় রেখে প্রতি বছরই আগে থাকতে বিপুল পরিমাণে এই মাটির বোতল তৈরি করেন এই গ্রামগুলির কুম্ভকাররা। পাইকারি হারে কিনে তা খুচরো বিক্রি করা হয়।

Kolkata Weather : ৫০ কিলোমিটার বেগে বইবে ঝড়! কলকাতা সহ একাধিক জেলা ঝেঁপে বৃষ্টির পূর্বাভাস
পুরুলিয়া শহরের হাটের মোড়ে এই মাটির বোতলই দেদার বিকোচ্ছে। ক্রেতাদের চাহিদা মেটাতে কুলিয়ে উঠতে পারছেন না। তাঁদের মধ্যে অশোক নন্দী, দিয়া নন্দীরা বলেন, “গরমের শুরু থেকেই বোতলের মতো দেখতে মাটির ফ্লাস্কের বিক্রি বাড়তে থাকে। তবে গত এক সপ্তাহে চাহিদা আকাশ ছুঁয়েছে। প্রতি দিন এক এক জন ব্যবসায়ী দুশোরও উপর বিক্রি করছেন এই বোতল।”

গত এক সপ্তাহে শুধু পুরুলিয়ার হাটতলা বাজার থেকে খুচরো মাটির বোতল বিক্রি হয়েছে ৫ হাজারেরও বেশি। দামও যথেষ্ট ভালো পেয়েছেন তাঁরা। এক একটি বোতল ৪০ টাকা পর্যন্ত দামে বিক্রি হয়েছে। পুরুলিয়ার এই মাটির বোতল কলকাতা, রাঁচি, জামশেদপুরের মতো বড় শহরগুলিতেও বিক্রির জন্য পাঠানো হয়েছে বলে জানান বিক্রেতারা।

Mango Price : ১২ টাকা কিলো, জলের দরে আম বিকোচ্ছে কোন বাজারে জানান?
এদিন নিজের জন্য মাটির বোতল কেনেন পুরুলিয়া শহরের আমডিহার বাসিন্দা অতসী ঘোষ। শিক্ষা দফতরের কর্মী অতসী বলেন, “শুধু বাড়ি বা বাইরের জন্য না, অফিসের জন্যেও মাটির বোতল নিয়ে যাই। এতে জল শুধু ঠান্ডাই থাকেনা, তাজাও থাকে।”

জয়পুরের বাসিন্দা সিদ্ধার্থ রায় ভাণ্ডারী বলেন, “এই বিশেষ ফ্লাস্কের জলে একটা সোঁদা গন্ধও থাকে। এই জলের স্বাদই আলাদা। এই গরমেও শরীর চনমনে হয়ে ওঠে।”



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *