এই ৩টি ফুড স্ট্রিটের জন্য নিউ মার্কেটের সামনের এলাকা, ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হলের দক্ষিণ গেট সংলগ্ন এলাকা এবং মিলেনিয়াম পার্কের সামনের জায়গাটিকে বেছে নিয়েছে কলকাতা পুরসভা। এছাড়া প্রিন্সেপ ঘাট চত্বরকেও সম্বাভ্য চতুর্থ স্থান হিসেবে বেছে নেওয়া হতে পারে।
এই প্রসঙ্গে ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ শনিবার জানান, ‘ব্যাংককের জনপ্রিয় স্ট্রিট ফুড হাবের মতো কলকাতা পুরসভাও একটি ফুড হাব তৈরি করতে চাইছে।’ প্রসঙ্গত খাবারের রকমভেদ, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ও স্বাদের জন্য স্থানীয় এবং বিদেশি পর্যটক, উভয়ের কাছেই খুব জনপ্রিয় ব্যাংককের ফুড হাব।
কেন্দ্রের আর্থিক সহযোগিতায় এই প্রকল্পের উদ্যোগ নিয়েছে কলকাতা পুরসভা। যদি সবকিছু পরিকল্পনা মাফিক হয় তবে কলকাতার এই ফুড স্ট্রিটগুলিতে ব্রেকফাস্ট ও লাঞ্চের জন্য কমপক্ষে ৫০ ধরনের খাবার পাওয়া যাবে। এই প্রসঙ্গে অতীন ঘোষ আরও বলেন, ‘স্থানীয় এবং বিদেশিদের কাছে জনপ্রিয়তার বিচারে নিউ মার্কেট, ভিক্টোরিয়া এবং মিলেনিয়াম পার্কের মতো জায়গাগুলিকে বেছে নেওয়া হয়েছে।’ ফুড হাবের মডেল তৈরি করার জন্য একজন বিশেষজ্ঞ পরামর্শদাতাকেও নিয়োগ করেছে কলকাতা পুরসভা। এক্ষেত্রে ডেপুটি মেয়র বলেন, ‘ফুড স্টলগুলির নকশা থেকে শুরু করে খাবারদাবার, সবক্ষেত্রেই সাবধানতার সঙ্গে পরিকল্পনা করা হচ্ছে।’
কলকাতার এই ফুড হাবে খাবারের গুণমানের বিষয়টিও সম্পূর্ণরূপে মাথায় রাখা হবে বলে জানা যাচ্ছে। এক্ষেত্রে মনে রাখা দরকার, গত ২০০৫ সালে গোটা শহর জুড়ে একটি সমীক্ষা চালায় অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ হাইজিন অ্যান্ড পাবলিক হেলথ (AIIH&PH)। সেই সমীক্ষায় কলকাতার স্ট্রিট ফুডে প্রাথমিক স্বাস্থ্যবিধির অভাব ধরা পড়ে। মূলত বাসন ধোয়া থেকেই স্পষ্ট হয়ে ওঠে বিষয়টি।
এক্ষেত্রে অতীন ঘোষ জানাচ্ছেন, ‘দেড় লক্ষ খাবার বিক্রেতা এমন রয়েছেন যাঁদের বিদেশি পর্যটকদের সামনে শহরের ভাবমূর্তিকে আরও ভাল করে তুলে ধরতে এবং তাঁদের হাতে সেরা গুণমানের খাবার তুলে দিতে প্রশিক্ষণের প্রয়োজন। ফুড স্ট্রিট চালানর জন্য প্রশিক্ষিত খাবার বিক্রেতাদের নিতে পারে কলকাতা পুরসভা’।