স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গ্রামীণ এলাকার মধ্যে আমবাগানে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় ব্যাপক শোরগোলের সৃষ্টি হয়েছে। সোমবার বেলায় ওই আমবাগানে কয়েকজন শিশু খেলাধূলা করছিল। সন্দেহজনক কিছু দেখে বল ভেবে নিতে যায় শিশুগুলি। তখন আমবাগানে লুকিয়ে রাখা ওই বোমা বিস্ফোরিত হয়। আহত হয় চার শিশু।
পঞ্চায়েত ভোটের প্রাক্কালে কারা আমবাগানে বোমাগুলো মজুত রেখেছিল তার তদন্ত করে দেখছে ফরাক্কা থানার পুলিশ। জেলায় বোমা উদ্ধারের ঘটনা নিত্য নৈমিত্তিক। পঞ্চায়েত নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হওয়ার আগে থেকেই জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বোমা উদ্ধার করেছে পুলিশ। এরপরেও বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়।
প্রসঙ্গত, এদিন মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরপাড়া অঞ্চল থেকেও বোমা উদ্ধার হয়। পঞ্চায়েত ভোটের আগে ৪০টি তাজা বোমা উদ্ধার করে সাগরপাড়া থানার পুলিশ। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে এদিন সাহেবনগর এলাকার একটি কার্লবগাটের নীচ থেকে বোমা ভর্তি দুটি বালতি উদ্ধার করে পুলিশ।
বোমা উদ্ধারের পরে খবর দেওয়া হয় বম্ব স্কোয়াডে। বম্ব স্কোয়াডের কর্মীরা এসে দুটি বালতি থেকে চল্লিশটি তাজা বোমা উদ্ধার করে। নিরাপদ স্থানে নিয়ে গিয়ে সেগুলি নিস্ক্রিয় করার প্রক্রিয়া শুরু হয়। পঞ্চায়েত ভোটের আগে কে বা কারা বোমাগুলি মজুত রেখেছিল খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এদিকে বোমা উদ্ধারের ঘটনায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়।
একের পর এক বোমা উদ্ধারের ঘটনায় আতঙ্কিত স্থানীয় বাসিন্দারা। পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন পর্বেই একাধিক জায়গায় রক্তপাত হয়েছে। ইতিমধ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন সংগঠিত করতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। যদিও বিষয়টি এখন সুপ্রিম কোর্ট বিচারাধীন। তারপরেও একাধিক জায়গা থেকে বোমা উদ্ধারের ঘটনায় পঞ্চায়েত নির্বাচন আদৌ কতোটা শান্তিপূর্ণ হবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।