বাকি সমস্ত দিকই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ময়না তদন্তের রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করেই তদন্ত প্রক্রিয়া এগোবে”। মৃত মহিলা গোপা রায়ের দাদার সঙ্গে পুলিশ কথা বলেছে কিনা এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “উনি এই মুহূর্তে কথা বলার মতো অবস্থায় নেই। পরে ওনার সঙ্গে কথা বলা হবে”। পুলিশ সূত্রে খবর, মা গোপা রায় এবং মেয়ের নাম সুদেষ্ণা রায়।
দাদা গৌতম দে’র সঙ্গে এই বাড়িতে ভাড়া থাকতেন মা ও মেয়ে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান বিষক্রিয়া হয় এমন কোনও জিনিস খেয়েই তাঁদের মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুর আসল কারণ জানার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। মা ও মেয়ের জোড়া মৃতদেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে আলোড়ন পড়ে গিয়েছে কেষ্টপুর এলাকায়।
আজ, সোমবার ঐকতান হাউসিং সোসাইটিতে মা ও মেয়ের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। এই ঘটনা নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায়। এটা কি খুন, নাকি আত্মহত্যা? গোটা ঘটনা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে বাগুইআটি থানার পুলিশ। এলাকার CCTV ফুটেজ পরীক্ষা করার কাজ শুরু হয়েছে। কেষ্টপুরে এই রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনা পুলিশকে ভাবিয়ে তুলেছে।
বাড়িতে কেউ ছিল কিনা সেটা জানার জন্য জিজ্ঞাসাবাদ করা শুরু হয়েছে। সূত্রে খবর, সকাল থেকেই গোপা ও সুদেষ্ণাকে ফোনে পাচ্ছিলেন না গৌতম বাবু। তিনিই আবাসনের নিরাপত্তারক্ষী ও প্রতিবেশীদের খোঁজ নিতে বলেন। তখনই জানা যায় আসল ঘটনা কি।
মা ও মেয়ে আত্মহত্যা করেছেন, না কি মৃত্যুর নেপথ্যে অন্য ঘটনা আছে, সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তাঁরা আত্মহত্যা করে থাকলে কেন করেছেন? সেটাও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তদন্তের স্বার্থে পুলিশ আপাতত ওই ফ্ল্যাটটি সিল করে দিয়েছে।