West Bengal Panchayat Polls : ​বারাসতে ভোটের আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় উড়ল সবুজ আবির, ‘খেলা হবে’ বাজিয়েই চলল সেলিব্রেশন – trinamool congress won 13 out of 20 in barasat election23


Panchayat Election 2023 : পঞ্চায়েত ভোট আগামী ৮ ই জুলাই। তারপর গণনা এবং ফলাফল। কিন্তু তার আগেই রাজ্যের একের পর এক জায়গায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় পেতে শুরু করেছে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। বিরোধীরা বিষয়টিকে মনোনয়ন জমার সময় শাসকদলের সন্ত্রাস হিসেবে অভিহিত করলেও, তাতে তৃণমূল নেতা কর্মীরা যে বিন্দুমাত্র আমল দিতে রাজি নন, তা বোঝা গেল উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বারাসত ব্লক ২-এর শাসন থানার অন্তর্ভুক্ত কীর্তিপুর ১ পঞ্চায়েতে। এখানে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের বিজয় মিছিল হয়ে গেল বুধবার। এটি এমন এক পঞ্চায়েত যেখানে বিরোধীরা নেই।

Panchayat Vote 2023 : কেষ্ট ছাড়াই বাজিমাত! বীরভূমে নির্বাচন ছাড়াই আরেক পঞ্চায়েতে জয় ঘাসফুলের
এর আগে শাসন পঞ্চায়েতেও একই হাল হয়েছিল বিরোধীদের। সেখানে বিরোধী শূন্যই বলা যায়। এবার কীর্তিপুর ১। বারাসত ২ নম্বর ব্লকের শাসনের কীর্তিপুর ১ পঞ্চায়েতে ২০টি গ্রাম সভার মধ্যে ১৩ টি তে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়, যাকে বলে ওয়াকওভার এবং তিনটে পঞ্চায়েত সমিতির মধ্যে দু’টিতেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।

WB Panchayat Election Nomination: অভিষেক আশ্বাসের পরেও বিরোধীদের খোঁজ নেই! বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় শাসনে জয়ী তৃণমূল
সেই উপলক্ষ্যে ও উন্মাদনায় খড়িবাড়ি বাজার থেকে কৃষ্ণমাটি মোড় পর্যন্ত বিজয় মিছিল করলেন তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি মান্নান আলি এবং ৩৮ নম্বর জেলা পরিষদের তৃণমূল প্রার্থী এ কে এম ফারহাদ ও সমস্ত বিজয়ী সমস্ত সদস্য সদস‍্যাগণ। সেই বিজয় মিছিলে দেখা গেল সবুজ আবির মেখে, আতসবাজি ফাটিয়ে, বক্সে ‘খেলা হবে’ গান বাজতে বাজতে এলাকা ঘুরতে।

WB Panchayat Vote 2023 : ৩ পঞ্চায়েত বিরোধীশূন্য, সবুজ আবির মাখামাখি! ভোটের আগে বড় জয় তৃণমূলের
প্রার্থীদের গলায় মালা পরিয়ে ৮ থেকে ৮০ সকলেই এই বিজয় মিছিলে অংশ নেন। মিছিল থেকে স্লোগান ওঠে ‘সবুজ সাথী জিততে থাক, বামফ্রন্ট নিপাত যাক’। তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি মান্নান আলি এই বিষয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেন, “খাম, বাম, রাম কে আজ মানুষ টাটা বাই বাই করে দিয়েছেন।

West Bengal Panchayat Election : নানুরে একাধিক পঞ্চায়েতে নির্বাচন ছাড়াই জয় তৃণমূলের, উচ্ছ্বাসে মাতল কর্মীরা
এই জয় মানুষের আবেগ মানুষের ভালোবাসার জয়। এখানে বিরোধীরা কোনও প্রার্থীই দিতে পারেনি”। তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নই প্রধান অস্ত্র এই জয়ের। যদিও স্থানীয় CPIM নেতৃত্ব বলছেন উলটো কথা। শাসনের এক CPIM নেতা জানা, “শাসন এলাকায় ধীরে ধীরে আবার আগের কর্তৃত্ব ফিরে পাচ্ছে বামেরা।

তাই তৃণমূল বিচলিত। এই কারণেই ভয় দেখিয়ে, চাপ দিয়ে আমাদের প্রার্থীদের মনোনয়ন তুলে নিতে বাধ্য করা হয়েছে। আর সেই কারণেই তৃণমূল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় পেয়েছে। কিন্তু সত্য বেশিদিন চাপা থাকে না। মানুষ সব দেখছেন, বুঝছেন। পরের নির্বাচনগুলিতে জনতা এর যোগ্য জবাব দেবেন”।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *