সোমবার দুপুরে কোচবিহারের চান্দামারিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোচবিহারের চান্দামারিতে প্রাণনাথ উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠের সভামঞ্চ থেকে স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে আক্রমণ করেন বিএসএফ-কে। তাদের উদ্দেশে বলেন, ”আমার কাছে খবর এসেছে, ভোটের আগে বিএসএফ বর্ডারে বর্ডারে মানুষকে ভয় দেখাবে।” তাঁর এই মন্তব্যেরই পালটা জবাবে BSF বিবৃতিতে জানিয়েছে, ”মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোচবিহারের চান্দামারিতে যে মন্তব্য করেছেন তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং বাস্তবের থেকে বহু দূর। বিএসএফ ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত প্রহারার কাজে মোতায়েন। তাদের কাজ দেশের সুরক্ষা নিশ্চিত করা। সীমান্তবর্তী মানুষকে সুরক্ষা দেওয়া ও আন্তর্সীমান্ত অপরাধকে রোখা, অনুপ্রবেশ ও স্মাগলিং, পাচারের মতো যেকোনও ধরনের বেআইনি কাজকে ঠেকানো। যদিও পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচনের কারণে সুরক্ষার জন্যেও তাদের কাজে লাগানো হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনের নজরদারিতে এলাকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাই তাদের কাজ।”
এখানেই শেষ নয়, সীমান্তবল রক্ষা বাহিনী তৃণমূল সুপ্রিমোর অভিযোগকে খণ্ডন করতে যুক্তিও পেশ করেছে। বিবৃতির তিন নম্বর পয়েন্টে বিএসএফ-এর তরফ থেকে বলা হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী যেমন অভিযোগ করেছেন, সীমান্তবর্তী এলাকার কেনও মানুষের থেকে এরকম কোনও অভিযোগ পাওয়া যায়নি। এমনকী শুধু বিএসএফ নয়, এরকমই কেন্দ্রীয় বাহিনীর কোনও কর্তৃপক্ষের কাছেই এমন রিপোর্ট বা অভিযোগ আসেনি। সীমান্ত এলাকায় ভোটের আবহে শান্তিরক্ষার কাজে ন্যস্ত বাহিনী। একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এমন অভিযোগের তীব্র নিন্দা করেছে বিএসএফ।
উল্লেখ্য, শুধু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই নন, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ সহ একাধিক তৃণমূল নেতা মন্ত্রী বিএসএফ-এর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ এনেছেন। সীমান্তে অত্যাচার চালানোর সঙ্গে সঙ্গে অন্যায়ভাবে নির্দোষ মানুষকে মারারও অভিযোগ এনেছে তৃণমূল।