এদিন সিপিএম ও তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণ করেন শুভেন্দু। বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘এবারে ইভিএম নয় ব্যালটে ভোট হচ্ছে। এবারের নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভোট দিতে পারবেন না, কারণ তিনি কলকাতার রাজপ্রাসদে থাকেন। এই নির্বাচনে গাঁয়ের মানুষ ভোট দেবে। আমিও নন্দীগ্রামে ভোট দেব। মনোনয়ন আটকাতে পারেনি। খেঁজুরিতে চেষ্টা করে আটকাতে পারেনি। গ্রামে বাইক বাহিনী ঢুকলে তাদের পুকুরে চোবাতে হবে। যাঁকে পছন্দ হয় তাঁকে ভোট দেবেন।’
শুভেন্দু আরও বলেন, ‘তৃণমূল মানেই চোর। এবার চোরমুক্ত পঞ্চায়েত নির্বাচন হবে। বিজেপির অঙ্গীকার চোরমুক্ত পঞ্চায়েত। সিপিএমের ফাঁদে পা দেবেন না। কমরেডদের বলব বিজেপিকে ভোট দিন। আপনাদের নেতা সীতারাম ইয়েচুরি পটনাতে বসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ফিসফ্রাই ও বিরিয়ানি খেয়েছে। সিপিএমকে ভোট দেওয়া মানে চোর তৃণমূলকে ভোট দেওয়া। বাংলায় তৃণমূলের বি টিম হল সিপিএম ও কংগ্রেস। বাংলায় চোরদের বিকল্প বিজেপি।’
শুভেন্দুর মন্তব্য প্রসঙ্গে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সিপিএমের সম্পাদক নীরঞ্জন সিহি বলেন, ‘এই ধরনের কথার কোনও মূল্য নেই। এটা পুরোপুরি মিথ্যে কথা। মিথ্যে কথা বলে বামপন্থী ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন। ওঁর রাজনৈতিক চরিত্রের কথা সকলেরই জানা। নিজে একবার আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে মুখ দেখুন। ২০০৮ থেকে ২০১৯ সাল অবধি উনি কী করছেন তা দেখুন। সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে রাজনীতি আলাদা, সেখানে সব আঞ্চলিক দল এক হয়েছে। বিজেপি একটা ভয়ংকর শক্তি। বাংলার ক্ষেত্রে আমরা বিজেপি ও তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এই কথা বলে ভোট বিভাজন করতে চাইছে।’
কাঁথি সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি তরুণ মাইতি শুভেন্দুর মন্তব্য প্রসঙ্গে বলেন, ‘সাগরদিঘিতে এক কথা বলছেন, এখানে অন্য কথা বলছেন। খেঁজুরির মানুষের সিপিএমকে নিয়ে অভিজ্ঞতা খুব খারাপ। তৃণমূলে থেকে আন্দোলনের করার কারণে সিপিএমের থেকে দূরত্ব বজায় রাখার চেষ্টা করছেন। মানুষ এইসব কথাকে গুরুত্ব দেবে না। উন্নয়নের জয় হবে।’