Madan Mitra : ‘…এত টাকা খরচ হচ্ছে, সরকারি কর্মীদের ডিএ দেওয়া যেত’, বিস্ফোরক মদন – tmc mla madan mitra opens mouth on da protest and wb panchayat election23


নির্বাচনী প্রচারের জন্য জলপাইগুড়ি পৌঁছেছেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র। মঙ্গলবারে সকালে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে নামেন তৃণমূলের এই ‘রঙিন নেতা’। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে তীব্র আক্রমণ করেছেন মদন। তৃণমূল বিধায়কের অভিযোগ, রাজ্যে হিংসা ছড়াচ্ছেন রাজ্যপাল। রাজভবনকে অপবিত্র করছেন।

কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পঞ্চায়েত ভোট করার দাবি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে সরব হয়ে আসছে বিরোধীরা। কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে মুখ খুলেছেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক। তাঁর দাবি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করে টাকা নষ্ট করা হচ্ছে। পঞ্চায়েত ভোটের জন্য রাজ্যপুলিশই যথেষ্ট বলে মন্তব্য করেন কামারহাটির বিধায়ক।

Chiranjeet Chakraborty: ‘রাজ্যপালের একটু বুঝে চলা উচিত…’, রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত আবহে মন্তব্য চিরঞ্জিতের
নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মদন বলেন, ‘কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ভোট দেওয়ার অধিকার দিয়ে দিক না। এত নাটকের কী আছে? কোটি কোটি টাকা খরচ করে কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে। আমাদের পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ যথেষ্ট। কেন্দ্রীয় বাহিনী আনতে যে টাকা খরচ হচ্ছে, তাতে কয়েক ধাপে ডিএ দেওয়া যেত। ক্ষমতা আছে, তাই এইসব করছে। আদালত নির্দেশ দিলে তা আমাদের মানতেই হবে। কোর্টের নির্দেশ তো আমরা অমান্য করি না।’

Governor CV Ananda Bose: আদর্শ আচরণবিধি লঙ্ঘন করছেন রাজ্যপাল, খোদ বোসের বিরুদ্ধে কমিশনে নালিশ তৃণমূলের
রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে নিয়েও বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন ‘কালারফুল বয়’। মদন বলেন, ‘রাজ্যপাল নিজে হিংসা ছড়াচ্ছেন। রাজ্যপালের ওই বাড়িটাকে অপবিত্র করছেন উনি। আমাদের উচিত, পঞ্চায়েত ভোটের পর কর্পোরেশনের বড় পাইপ নিয়ে গিয়ে গঙ্গার জল দিয়ে রাজভবন ধোয়া উচিত। রাজ্যপাল ওই ভবনটা অপবিত্র করছেন। ওখানে বসে পিস হাউজের নামে হিংসা ছড়াচ্ছেন। রাজ্যপাল পিস রুমের নামে হিংসা ছড়াচ্ছেন। রাজ্যপাল বা কেন্দ্রীয় বাহিনী শেষ কথা বলবে না, সিদ্ধান্ত নেবে বাংলার মানুষ। ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে আমাদের স্লোগান ছিল খেলা হবে, এবার আমরা বলছি খেলা শেষ।’

CV Ananda Bose : রাজ্যপালের পা জড়িয়ে কাঁদলেন নিহতের মেয়ে
পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারে তৃণমূলের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ইস্যুতে সরব হয়েছে বিরোধীরা। সেই নিয়েও মন্তব্য করেন মদন। তিনি বলেন, ‘তৃণমূল চোর কী ডাকাত সেটা কয়েকদিন বাদেই বুঝতে পারবেন। একটু অপেক্ষা করুন না। মানুষ তৃণমূলকে চোর ভাবে না গদ্দারদের বিরুদ্ধে ভোট দেয় সেটা প্রমাণ হবে। শুভেন্দুর মতো লোক ১১ তারিখের পর রাস্তা দিয়ে হাঁটতে পারবে না।’ উল্লেখ্য এই প্রথম নয়, আগেও একাধিরকবার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে ‘কালো শয়তান’ বা ‘কালা রজনীকান্ত’ বলে আক্রমণ করেছিলেন মদন।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *