বৃহস্পতিবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারের শেষ লগ্নে দেগঙ্গা কাণ্ডে এবার ভাঙড় যোগের তত্ত্ব খাড়া করলেন বারাসতের তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। স্কুল পড়ুয়া নাবালক ইমরান হাসানের খুনের ঘটনায় সরাসরি ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীকে দুষে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন তিনি।
প্রচার কর্মসূচির সমাপ্তি উপলক্ষে বৃহস্পতিবার বিকেলে এক সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয় মধ্যমগ্রামে জেলা তৃণমূল পার্টি অফিসে। সেই সাংবাদিক সম্মেলন থেকেই দেগঙ্গা কাণ্ডে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব উড়িয়ে আইএসএফ এবং সিপিএমকে একযোগে নিশানা দলের জাতীয় মুখপাত্র তথা বারাসত সাংগঠনিক জেলার সভাপতি কাকলি ঘোষ দস্তিদার।
তৃণমূলের জেলা মুখপাত্র ও রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষকে পাশে বসিয়ে কাকলি বলেন,’ঘটনার আগের দিন ভাঙড় থেকে নওশাদের লোকজন ঢুকেছিল দেগঙ্গায়। বোমা-গুলি এবং দুষ্কৃতী এনে ফের দেগঙ্গকে অশান্ত করার চেষ্টা চলছে।’ তাঁর কথায়, এর দায় নওশাদকেই নিতে হবে। আর সিপিএম সহযোগিতা করছে ওকে। ১৭ বছরের নিষ্পাপ একটি ছেলেকে বোমা মেরে খুন করল ওরা।
কাকলি বলেন, ‘এরপরও মুখে বড় বড় কথা বলছে। লজ্জা করেনা। এরা চোর,খুনি। চোরের মায়ের বড় গলা।’ এই ইস্যুতে সিপিএমকে নিশানা করে তৃণমূল সাংসদ বলেন, ‘২০১১-র বিধানসভা নির্বাচনে ওয়াশিং পাউডার দিয়ে সাফ করে দিয়েছি ওদের। তাতেও লজ্জা নেই। এখন খুনের রাজনীতি শুরু করেছে। সিপিএমের হাত রক্তমাখা! ওদের মানুষ কখনও ক্ষমা করবে না।’
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার তৃণমূলের মিছিলে যোগ দেয় ইমরান নামে ওই ছেলেটি। মিছিল শেষ করে যখন সবাই বাড়ি ফিরছিল তখন বোমা ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। রাত সাড়ে ১১ টা নাগাদ এই ঘটনা ঘটে। স্থানীয়দের অভিযোগ, সেই সময় কিছু দুষ্কৃতী পরপর দুটি বোম নিক্ষেপ করে মিছিল ফেরত লোকদের উপর। একটি বোমা সরাসরি ইমরানে গায়ে লাগে বলে পুলিশ সূত্রে জানা যায়। বোমার আঘাতে ঘটনাস্থলেই গুরুত্ব আহত হয় ইমরান। এরপর তাঁকে দেগঙ্গা ব্লকের বিশ্বনাথপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে।