সেই সঙ্গে বেলাগাম হয়ে শুভেন্দু বলেন, ‘তোর বাবা কলকাতা পুলিশকে ডেকে নিস। দেখে নেব কে কি করতে পারে।’ সেই সঙ্গে কমিশনারের বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের কথাও বললেন শুভেন্দু।
এছাড়াও তিনি বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৌজন্যে নিউটাউন রাজারহাটে কত কত জমি সম্পত্তি করেছে, সেই সব তালিকা আমার কাছে আছে। সব কিছু এবার ফাঁস করব।’ হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী ভোট শেষ না হওয়া পর্যন্ত নন্দীগ্রামেই থাকতে হবে শুভেন্দু অধিকারী।
তাই এদিন কমিশনারকে শুভেন্দু বলেন, ‘সন্ধে ৬ টার পর আসছি কমিশনে তালা লাগাতে। দরকার পড়লে আমি নিজে যাব। তার আগে লুঠ হয়ে যাওয়া ব্যালট সব পুকুরে ফেলতে হবে। দলমত নির্বিশেষে সেই কাজ করতে হবে। জায়গায় জায়গায় ভোট লুঠ হয়েছে।’
গড়চক্রবেড়িয়া মোড়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের লাঠি মেরে শায়েস্তা করছে এই দাবি করে শুভেন্দু বলেন, ‘এরকম ভাবেই এবার সব জায়গায় তৃণমূলের কর্মী ও জেহাদিদের ঠাণ্ডা করা হবে। ডাণ্ডা মারা হবে সব জায়গায়।’ ভোটের দিনে একের পর এক মৃত্যুর জন্য কমিশনারকেই দায়ী করেছেন শুভেন্দু।
তাঁর বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করা উচিৎ বলে মন্তব্য করেন তিনি। উল্লেখ্য, এদিন টোটোয় চেপে ভোট দিতে যান শুভেন্দু অধিকারী। সেখান থেকেই রাজ্যকে নিশানা করেছিলেন তিনি। ডাক দিয়েছিলেন কালীঘাট যাওয়ার। নন্দীগ্রামের নন্দ নায়ক বাড়ে ৭৭ নম্বর বুথে ভোট দেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
ভোট দিয়ে রাজ্য সরকারের পুলিশ ও পুলিশ মন্ত্রীর উপর ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। তিনি বলেন, ‘বিরোধীদের মারধরের পাশাপাশি সাংবাদিকদেরও মারধর করেছে পুলিশ।’ এদিন নিজের ভোট দেওয়ার পরে ‘চলো কালীঘাট, ইটগুলি খুলি’ বলে স্লোগান দেন বিরোধী দলনেতা।
শনিবার দুপুরে রাজ্যে ‘জনগণের অভ্যুত্থান’ দরকার বলেও মন্তব্য করেন তিনি। শুভেন্দুর দাবি, রাজ্যে শান্তি ফেরাতে দু’টি পথ রয়েছে। ৩৫৬ বা ৩৫৫ অনুচ্ছেদ জারি করে নির্বাচন অথবা জনগণের অভ্যুত্থান।