হুমায়ুন কবীরকে নিশানা
আরামবাগের সাংসদ তাঁর ট্যুইটার হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘আইপিএস হুমায়ুন কবীর যা বলেছেন, কে বলিয়েছে জানা খুবই সহজ। উনি যখন সিপি চন্দননগর ছিলেন, তখন তেলিনীপাড়ায় দাঙ্গা হয়। সেটার যদি তদন্ত হয়,আইপিএস কবীর সাহেব ফাঁসবেন। চুঁচুড়ার বড় বড় অপরাধী ওনার স্মরণে ছিল। সিপিএম সরকার থাকার সময় মালদা মুর্শিদাবাদ, উত্তর ২৪ পরগনায় ওনার দোষে অনেক তৃণমূল কর্মী মারা গিয়েছেন। এনিয়ে কি একটু মুখ খুলবেন? তখন কি বাংলায় বাঙালী থাকত না। কার কথাতে আপনি তৃণমূলের এমএলএ টিকিট পেলেন? আপনি তৃণমূল কংগ্রেসের ক্ষতি করেছেন।’
অপরূপা আরও লেখেন, ‘আপনি তৃনমূলের এমএলএ আছেন। সিপি থাকাকালীন সাকির আলি (রিষড়ার কাউন্সিলর তথা অপরূপা পোদ্দারের স্বামী) অভিযোগ এনেছিল, তখন আপনাকে বাঁচিয়ে সাকির আলিকে বলি করা হল। আপনি সিপি হিসাবে জাল কারবাইন ধরেছেন অপরাধীদের সঙ্গে ষরযন্ত্র করে। সেখানে সরকারের কোনও স্বার্থ ছিল না, আপনার নিজের স্বার্থ ছিল। গত বছর আপনার বাড়িতে কী ঘটনা ঘটেছিল সেটা কি টুইট করতে হবে? আপনি সংখ্যালঘুদের মুখ হিসেবে দলকে চাপে ফেলার চেষ্টা করবেন না। আপনি বাম আমলে পুলিশ অফিসার থাকাকালীন অনেক সংখ্যালঘুকে হত্যা করেছেন মনে করে দেখুন।’
অপরূপা বলেন, ‘রাজনীতির লোক না হলে সমাজের যে কোনও লোক সে টোটোওয়ালাই হোক বা আইপিএস অফিসার, এরকম ভুল ভাল বকে। হুমায়ুন সাহেব নিজেই বলছেন ২০০৮ সালে মুর্শিদাবাদে নির্বাচনের দিন অনেক মানুষ খুন হয়েছিলেন, তো তখন তিনি কিছু বলেননি কেন? ২০১৯ সালে পুলওয়ামা হামলায় ভারতীয় জওয়ানরা মারা গিয়েছিলেন, ভারতবাসী হিসেবে লজ্জিত ছিলেন না গর্বিত ছিলেন সেটা কেন বলেননি? আজকে অনেক বড় বড় কথা বলছেন। কিন্তু জেনে রাখবেন আমরা যা হয়েছি সবই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য। হয়তো ওনার মনোমতো ডেবরায় প্রার্থী হয়নি, সেই কারণেই এই ধরনের ভুলভাল বকছেন। আপনি বলছেন বর্ধমান সিপিএম-এর দুর্গ ছিল। আপনি কে হে মশাই? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখে মানুষ তৃণমূলকে ভোট দিয়েছে। আর আপনার শ্বশুর তো সিপিএমের নেতা ছিল। পুরো বর্ধমান জানে। আপনি কার জন্য কী করেছেন সেটা মানুষ জানে আর ঈশ্বর জানে। আপনি মনে রাখবেন আপনি সংখ্যালঘুদের মুখ নন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সংখ্যালঘুদের মুখ বাংলার নয় গোটা দেশের। মনে রাখবেন জনগণের পঞ্চায়েত হবে। যতই বিরোধীদের সঙ্গে মিলে দলের কিছু লোক ইন্ধন দিক, ঘরের শত্রু বিভীষণ।’
যা বলেছিলেন হুমায়ুন কবীর…
প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত নির্বাচনে হিংসা ও রক্তপাত প্রসঙ্গে হুমায়ুন কবীর বলেছিলেন, ‘আমি খুব লজ্জিত, একই জিনিস চলে যাচ্ছে, আমার খুব খারাপ লাগছে, খুব কষ্ট হচ্ছে। এই মানুষগুলো তো আর ফিরবে না, এদের বাড়ির লোকগুলোর কী হবে?’ তার প্রক্ষিতেই এবার সরব অপরূপা।