হুগলির জাঙ্গিপাড়ায় ব্যালট পেপার রাস্তা থেকে উদ্ধারের ঘটনায় দায়ের মামলায় এ দিন বিডিওকে তলব করেছিল আদালত। বিডিও দাবি করেন, তিনি প্রিসাইডিং অফিসারের নামে ওই ব্যালট ইস্যু করে দিয়েছিলেন। এর পর আর সরাসরি তাঁর কোনও দায়িত্ব থাকে না। আদালতের নির্দেশ, যে বুথের বাইরে রাস্তায় এই ব্যালট পাওয়া গিয়েছে, সেই বুথের ভিতর ও বাইরের সিসিটিভি ফুটেজ ডিভিআর-সহ হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে জমা রাখতে হবে। যে প্রিসাইডিং অফিসারের নামে ওই ব্যালট ইস্যু করা হয়েছিল, তাঁর নাম-ঠিকানা জানাতে হবে। রাস্তায় কী করে ব্যালট গেল, সেই ব্যাপারে তাঁর বক্তব্য বিডিওকে হলফনামা দিয়ে ২০ জুলাই জমা দিতেও নির্দেশ দেন বিচারপতি। ২৫ জুলাই হবে পরবর্তী শুনানি।
এ দিন কমিশনের আইনজীবী কিশোর দত্ত দাবি করেন, এখনও কিছু প্রমাণিত নয়। এই মামলা গ্রহণযোগ্য নয়, হাইকোর্ট শুনতে পারে না। ইলেকশন পিটিশন করতে হবে। ওই আইনজীবীর প্রতি বিচারপতি তখন বলেন, ‘গোছা গোছা ব্যালট রাস্তায় পাওয়া গেল, এর পরেও বলছেন কিছু প্রমাণিত নয়! বিডিও স্বীকার করছেন, আসল ব্যালট, তার পরেও কিছু প্রমাণিত নয় বলে বিষয়টা লঘু করার চেষ্টা হচ্ছে।’
বিডিও জানান, জয়দেব দে নামে প্রিসাইডিং অফিসারের নামে ব্যালটগুলি ইস্যু করা হয়েছিল। তবে সই নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার হিসেবে ভোটের দিনে দায়িত্ব ছিল বিডিও হিসেবে তাঁর। কিন্তু তার পরে আর দায়িত্ব থাকে না। ওই বুথ থেকে সন্ত্রাসের কোনও খবরও বিডিও অফিসে যায়নি বলে দাবি করেন তিনি।
মামলাকারীর আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, তদন্ত দরকার। এই রকম ব্যালট রাস্তায় খুঁজে পাওয়ার আরও অনেক অভিযোগ রয়েছে। সেই সব নিয়েও মামলা হবে। কমিশনের আইনজীবী জানান, অনেক সময়ে প্রিসাইডিং অফিসার হাজারখানেক ব্যালট সই করে রাখেন। দেখা গেল হয়তো ৬০০ ভোটার এলেন। বাকি ৪০০ ব্যালট বিডিও অফিসে ফেরত চলে যাওয়ার কথা। এমন ক্ষেত্রে একমাত্র ইলেকশন পিটিশন দায়ের করা যায়।