Maithon Panchet Dam : খালি হচ্ছে মাইথন-পাঞ্চেতের ভাঁড়ার, চাই একটানা বৃষ্টি – maithon and panchet two important reservoirs of the state have faced water scarcity due to lack of rains


বিশ্বদেব ভট্টাচার্য, আসানসোল
নজরে রয়েছে একটি ঘূর্ণাবর্ত। ওই দিকেই চাতক পাখির মতো চেয়ে রয়েছে রাজ্যের দুই গুরুত্বপূর্ণ জলাধার মাইথন ও পাঞ্চেত। ওই ঘূর্ণাবর্তের জেরে টানা বৃষ্টি হলে পরিস্থিতি অনেকটা সামলানো যাবে বলে মনে করছেন ডিভিসির কর্তারা। এলাকায় দীর্ঘদিন বৃষ্টি নেই। অথচ বর্ষা এসে গিয়েছে বহু আগে। ফলে বৃষ্টির অভাবে ক্রমশ শুখা হচ্ছে দামোদর। জলের ভাঁড়ারে টান পড়ছে মাইথন এবং পাঞ্চেতে। এই সময়ে বৃষ্টি না হওয়ায় এই দুই জলাধারে জলস্তর তুলনামূলক ভাবে কিছুটা কম বলে জানা গিয়েছে। এর জের পড়তে পারে রাজ্যের সেচে।

Delhi Flood Alert : উত্তাল যমুনার জল আর একটু বাড়লেই…, বড় ঘোষণা কেজরিওয়ালের
জল পাওয়ার সময় অন্তত এক সপ্তাহ পিছিয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। পানীয় জলের ক্ষেত্রেও আসানসোল, দুর্গাপুরে তৈরি হতে পারে সঙ্কট। বর্তমানে জলসঙ্কট মেটাতে পশ্চিম বর্ধমানের বহু জায়গায় প্রায় ৪০০টি ট্যাঙ্কার ব্যবহার করছে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তর। সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, রবিবার মাইথনে ৪৬১.৫৫ ফুট এবং পাঞ্চেতে জল রয়েছে ৪০০ ফুট। ডিভিসির এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর (সিভিল) অঞ্জনি কুমার দুবে জানান, শিল্পাঞ্চলে প্রতিদিন পানীয় জলের জন্য ১৫০০ একর ফুট জল সরবরাহ করে ডিভিসি।

Delhi Flood : ভাসছে রাজধানী! ভয়াবহ পরিস্থিতির মাঝেই ফের দিল্লিতে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস, পাশে থাকার বার্তা প্রশাসনের
বর্তমানে জলের সার্বিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে তিনি বলেন, ‘এই সময়ে যে বৃষ্টি হওয়ার কথা ছিল, তা মাইথন বা পাঞ্চেতের কোথাও হয়নি। এমনকী তেনুঘাট বাঁধেও খোলা হয়নি একটিও গেট। ওই এলাকায় জল ছাড়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হলে তা এসে জমা হতো পাঞ্চেতে। কিন্তু সেখানেও বৃষ্টি অনেক কম।’ ওই ইঞ্জিনিয়ার বলেন, ‘সম্প্রতি আবহাওয়া দপ্তর সাইক্লোনের একটি সতর্কবার্তা দিয়েছে। তাতে বেশ কয়েকদিন টানা বৃষ্টি হলে অবশ্য খুব অসুবিধা হবে না। তা না হলে জলের সমস্যা অবশ্যই হতে পারে।’

West Bengal Rainfall Update: বঙ্গোপসাগরে ঘনীভূত ঘূর্ণাবর্ত, বাংলার কপালে ঘোর দুর্যোগ!
ডিভিসির এই কর্তা জানিয়েছেন, আগামী ২৪ জুলাই বর্ধমানে সেচ দপ্তরের উদ্যোগে বৈঠক ডাকা হয়েছে। পঞ্চায়েত ভোটের কারণে এবার এই বৈঠক কিছুটা পিছিয়ে হচ্ছে। জল ছাড়া নিয়ে ওই বৈঠকে আলোচনা হবে। চাষের জন্য রাজ্য সরকার সাধারণত এক লাখ ৬০ হাজার একর ফুট জল চায়, তবে গত বছর চাহিদা কম থাকায় ৮০ হাজার একর ফুট দেওয়া হয়েছিল। এবার দুই বর্ধমান সমেত দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে সেভাবে বৃষ্টি নেই। সেক্ষেত্রে চাষের জন্য চাহিদা মতো জল সরবরাহ করতে গেলে বৃষ্টির দরকার। অঞ্জনি কুমার দুবে বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গ সরকার এখনও পর্যন্ত আমাদের জানায়নি এবার কতটা জল সেচের কাজে লাগবে। ২৪ জুলাই হয়তো সেটা আমরা জানতে পারব।’

Monsoon In Delhi : দিল্লিতে আরও ৫ দিন ঝেঁপে বৃষ্টি, বাড়বে বিপদ?
ডিভিসি বৃষ্টি নিয়ে আশাবাদী। তবে দামোদরের যে সব জায়গা থেকে আসানসোল পুরসভা, জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তর বা বিভিন্ন কল-কারখানা নিজেরা পাইপলাইন বসিয়ে জল তোলে, তারা জানাচ্ছে জলের পরিমাণ অনেকটাই কমে গিয়েছে। কোথাও কোথাও জলসঙ্কট প্রকট হচ্ছে। এই গরমে চারশোরও বেশি ট্যাঙ্কারে জল বিভিন্ন এলাকায় পৌঁছে দিতে হচ্ছে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরকে। তারাও তাকিয়ে রয়েছে বৃষ্টির দিকে। কারণ, বৃষ্টি না হলে পানীয় জলের সঙ্গে সঙ্কটে পড়তে পারে চাষও।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *