জানা গিয়েছে, চিকিৎসকের বান্ধবী ওই বহুতলের বাসিন্দা। তাঁর বান্ধবী বিদেশিনী বলে জানা গিয়েছে। আদতে তিনি থাইল্যান্ডের বাসিন্দা। সোমবার রাতে বান্ধবীর সঙ্গে দেখা করতে ওই বহুতলে যান শুভঙ্কর চক্রবর্তী। মাঝ রাতে বহুতলের পাঁচ তলা থেকে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয় তাঁর। গোটা ঘটনার তদন্তে শুরু করেছে প্রগতি ময়দান থানার পুলিশ।
থাইল্যান্ডের ওই মহিলার নাম পিনপিনাট ফ্রুয়েট্যানন। তাঁকে ইতিমধ্যেই জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে ওই মহিলা জানিয়েছেন, রাতে বাড়ি থেকে ফোন কল আসে চিকিৎসকের কাছে। এরপরেই বাড়ি ফেরার চেষ্টা করেন তিনি। ততক্ষণে ফ্ল্যাটের প্রধান দরজা বন্ধ হয়ে যায়। ফলে ছাদ থেকে দেওয়াল বেয়ে নামার চেষ্টা করেন তিনি। তখনই পয়ে পড়ে যান চিকিৎসক। ঘটনার সময় ওই চিকিৎসক মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন বলেও দাবি করেছেন ওই থাই মহিলা।
এদিকে বহুতলের কেয়ারটেকারের মা সংবাদমাধ্যমে জানান, তাঁর মেয়ে-জামাই সেখানে থাকেন। মেয়ের কাছ থেকেই খবর পান যে দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, চিকিৎসক ও তাঁর বান্ধবী, দু’জনেই সেখানে থাকতেন। ফ্ল্যালের লোকজন তাঁদের স্বামী-স্ত্রী হিসেবেই জানত। কিন্তু এই ঘটনার পর জানতে পারেন যে ওই চিকিৎসকের পরিবার সল্টলেকে থাকে।
ব্যারাকপুরে মহিলা চিকিৎসকের রহস্য মৃত্যু
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে উত্তর ২৪ পরগনার ব্যারাকপুরে এক মহিলা চিকিৎসকেরও রহস্য মৃত্যু হয়। মৃতা ওই চিকিৎসকের নাম প্রজ্ঞাদীপা হালদার। তিনি এক সেনা চিকিৎসকের সঙ্গে লিভ ইন সম্পর্কে ছিলেন। ঘটনায় কৌশিক সর্বাধিকারী নামে সেনা বাহিনীর ওই চিকিৎসককে গ্রেফতার করে পুলিশ।
প্রজ্ঞাদীপার দেহের পাশ থেকে একটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার করা হয়। সেই সুইসাইড নোটের ছত্রে ছত্রে ফুটে ওঠে মানসিক অবসাদ। সামাজিক মাধ্যমেও যথেষ্টই সক্রিয় ছিলেন ওই চিকিৎসক। সেখানেও মেলে অবসাদের বার্তা। ঘটনায় ওই সেনা চিকিৎসকের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ আনে প্রজ্ঞাদীপার পরিবার। ঘটনার তদন্ত করছে ব্যারাকপুর কমিশনারেটের পুলিশ। প্রজ্ঞাদীপাকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়া হয়েছে, নাকি খুন করা হয়েছে তাঁকে, সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন ব্যারাকপুর কমিশনারেটের পুলিশ কর্তারা।