এদিকে ব্যালট উদ্ধারের খবর পেয়ে জয়কৃষ্ণপুর এবিএস বিদ্যাপীঠে ছুটে আসেন সামশেরগঞ্জ ব্লক কংগ্রেসের সভাপতি ইমাম শেখ, চার নম্বর জেলা পরিষদের কংগ্রেসের সদস্য আনারুল হক বিপ্লব, ৬ নম্বর জেলা পরিষদের কংগ্রেসের পরাজিত প্রার্থী আয়েশা জুলেখা সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
ব্যালট উদ্ধারের ঘটনায় প্রশাসনের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে BDO-র বিরুদ্ধে হাইকোর্টে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কংগ্রেস নেতৃবৃন্দ। এই বিষয়ে সামশেরগঞ্জ ব্লক কংগ্রেসের সভাপতি ইমাম শেখ বলেন, ‘আমরা আগেই জানতাম।
এবার জেলা তথা রাজ্যের মানুষ বুঝতে পারছেন তৃণমূল কিভাবে ষড়যন্ত্র করে পঞ্চায়েত ভোটে জয়লাভ করেছে। এরকম না করলে মুর্শিদাবাদ জেলায় তৃণমূল কোনও আসন পেত কিনা সন্দেহ রয়েছে। এই জেলা কংগ্রেসের গড়। সেখানে কিভাবে তৃণমূল এত এত আসন পায়, সেই নিয়েই প্রশ্ন করছিলেন সবাই এতদিন। এবার সত্যিটা সামনে চলে এল’। এখানেই না থেমে তিনি আরও বলেন, ‘এই ঘটনার পিছনে তৃণমূল ছাড়াও স্থানীয় BDO-র হাত আছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে উপযুক্ত পদক্ষেপ না নেওয়া হলে আমরা BDO-র বিরুদ্ধে হাইকোর্টে যাব’। যদিও যাবতীয় অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে এলাকার তৃণমূল নেতৃত্ব।
সামশেরগঞ্জের স্থানীয় এক তৃণমূল নেতা বলেছেন, ‘কংগ্রেস আসলে হারার শোক থেকে বেরিয়ে আসতে পারছে না। তাই এসব ভুলভাল কথা বলছে। জেলার মানুষ অনেকদিন থেকেই তৃণমূলের সঙ্গে আছেন। তাই আমাদের ব্যালট ছেঁড়া বা পোড়ানোর দরকার পড়ে না। এই ব্যালট পেপারগুলি এখানে কিভাবে এল তা পুলিশ তদন্ত করে দেখুক’।
হিংসার আবহেই রাজ্যে হয়েছে পঞ্চায়েত ভোট। গণনাও শেষ হয়েছে। সেই গণনা ঘিরে বিরোধীদের অভিযোগও রয়েছে বিস্তর। সেই সব অভিযোগ যে পুরোপুরি অমূলক নয়, তার প্রমাণ এখনও মিলছে বলে দাবি করছে বিরোধী দলগুলি। গণনা পর্ব শেষ হওয়ার পরও গণনাকেন্দ্রের আশপাশের এলাকা থেকে ব্যালট পেপার উদ্ধারের বেশ অনেক ঘটনা সামনে আসছে।