যার ফলে ভোগান্তি হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। পুরসভার অ্যাম্বুল্যান্স না-পেয়ে বেসরকারি অ্যাম্বুল্যান্স ভাড়া নিতে খরচ হচ্ছে দ্বিগুণেরও বেশি। যদিও পুর কর্তৃপক্ষের দাবি, ‘রাস্তায় গাড়ি চললে খারাপ তো হবেই, তবে সেগুলো সারানোর কাজ চলছে।’
সরকারি সূত্রের খবর, পানিহাটি পুর এলাকায় দিনকে দিনে বাড়ছে জনবসতি। ফলে, পুর পরিষেবার চাহিদাও বাড়ছে। কিন্তু অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবার সাহায্য পেতে গিয়ে কালঘাম ছুটছে বাসিন্দাদের। প্রয়োজনের তাগিদ বিবেচনা করেই পানিহাটি পুরসভার অ্যাম্বুল্যান্সের সংখ্যা বাড়িয়ে চারটি করা হয়।
যার মধ্যে একটি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন তহবিল থেকে দান করা। তা ছাড়া, দমদমের সাংসদ সৌগত রায় ও স্থানীয় বিধায়ক নির্মল ঘোষের তহবিল থেকেও দু’টি অ্যাম্বুল্যান্স দেওয়া হয় পানিহাটি পুরসভাকে। চতুর্থ অ্যাম্বুল্যান্সটি একটি বেসরকারি সংস্থার দেওয়া।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, চারটি অ্যাম্বুল্যান্সই গত কয়েক মাস ধরে খারাপ অবস্থায় পড়েছিল। সম্প্রতি একটি অ্যাম্বুল্যান্স মেরামত করা হয়। কিন্তু অন্য তিনটি অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা দেওয়ার অবস্থায় নেই। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে পুরসভা ভবন চত্বরেই গাড়ি রাখার জায়গায় কোনওটির টায়ার অকেজো হয়ে পড়ে রয়েছে মাসের পর মাস, আবার কোনওটির যান্ত্রিক সমস্যা। অ্যাম্বুল্যান্স পেতে পুরসভার নির্দিষ্ট নম্বরে ফোন করলে কখনও উত্তর আসছে ‘গাড়ি খারাপ’, আবার কখনও বলা হচ্ছে, ‘গাড়ি অন্য জায়গায় ভাড়া গিয়েছে।’
তবে পুরসভা সূত্রেই জানা গিয়েছে, অ্যাম্বুল্যান্সের চালক ও তাঁর সহযোগী স্ট্রেচারম্যানকে পুরসভার তহবিল থেকে বসিয়ে বসিয়ে বেতন দেওয়া হচ্ছে। যদিও পানিহাটির পুরপ্রধান মলয় রায় বলেন, ‘রাস্তায় চললে গাড়ি খারাপ হতেই পারে। আর সেটা সারাই করার সময় তো দিতে হবে। খুব শিগ্গিরিই অ্যাম্বুল্যান্সগুলো চলবে।’
তবে কেবল অ্যাম্বুল্যান্স নয়, পানিহাটি পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, পুর এলাকার আবর্জনা পরিষ্কারের জন্য যে সব ট্র্যাক্টর ব্যবহার করা হয়, তার মধ্যে বেশ কয়েকটি খারাপ হয়ে পড়ে রয়েছে ছ’মাসেরও বেশি সময় ধরে। সেগুলো সারানোর উদ্যোগ নেই, ভাড়া করা ট্র্যাক্টর দিয়ে কাজ চালানো হচ্ছে। আবর্জনা সংগ্রহের জন্য একটি কমপ্যাক্টর মেশিনের ব্যাটারি চুরি যাওয়ায় সেটিও অকেজো হয়ে পড়ে রয়েছে।
এমনকী, পানীয় জলের গাড়ি কোনও ওয়ার্ডে গেলে সেখানে গাড়ির চাকা লিক হওয়ার কারণে মাসের পর মাস সেটি সেই জায়গায় পড়ে থাকছে ওই অবস্থাতেই।