Bhabha Research Centre Job: ১২ লাখের বেতন ছেড়ে পড়াশোনায় মন! মাত্র ২৩ বছরেই ভাবা-র বিজ্ঞানী ঝাড়গ্রামের সোহম – jhargram 23 year old soham mahapatra get chance in bhabha atomic research centre as a researcher


নামী বেসরকারি সংস্থায় বছরে ১২ লাখ টাকা বেতনের চাকরি পেয়েও ছেড়েছিলেন সুযোগ! এরপর কঠোর পরিশ্রম। মাত্র ২৩ বছর বয়সেই বার্ক অর্থাৎ ভাবা অ্যাটমিক রিসার্চ সেন্টারের বিজ্ঞানী হলেন ঝাড়গ্রামের সোহম মহাপাত্র। এই সাফল্যে খুশি তাঁর পরিবার।

২০১৫ সালে ঝাড়গ্রাম কুমুদকুমারী ইনস্টিটিউশন থেকে মাধ্যমিক পাশ করেন সোহম। এরপর সায়েন্স নিয়ে পড়াশোনা করা। ২০১৭ সালে তিনি উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দেন এবং সসম্মানে উত্তীর্ণ হন।

Scientist from West Bengal : আদর্শ ‘আব্দুল কালাম’ স্যার! অভাবকে জয় করে BARC-র বিজ্ঞানী বালুরঘাটের কৌস্তভ
এরপর রাজ্য জয়েন্টে পাশ করে বেলেঘাটায় গর্ভমেন্ট কলেজ অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড সেরামিক টেকনোলজিতে ভর্তি হন কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে। ২০২১ সালে তিনি বি টেক পাশ করেন এবং ওই বছর জুন মাসে নয়ডার একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজে যোগদান করেন। বছরে বেতন ছিল ১২ লাখ টাকা। কর্মক্ষেত্রে ‘বেস্ট এমপ্লয়ি অ্যাওয়ার্ড’-ও পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু, কাজের জায়গার প্রতি টান অনুভব করছিলেন না সোহম।

West Bengal Latest News: দেশের টানে ছাড়লেন বিদেশে গবেষণার সুযোগ, অশোকনগরের সঞ্জয়ের সিদ্ধান্তে চোখে জল পরিচারিকা মায়ের
এরপরেই তিনি সিদ্ধান্ত নেন বড় লক্ষ্য পৌঁছনোর জন্য কয়েকধাপ পিছিয়ে আসার। চাকরি ছেড়ে ‘গেট’ পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন তিনি। সেখানেও অভাবনীয় সাফল্য পান সোহম। ঝাড়গ্রামে ফিরে দশ মাস মাত্র পড়াশোনা করেন সোহম। তাতেই তিনি গেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। দেশের অন্যতম সেরা IITগুলির দরজা খুলে যায় তাঁর জন্য। কোনও সংস্থার থেকে কোচিং ছাড়াই এই সাফল্য পান সোহম।

পাটনা IIT-তে ভর্তি হওয়ার পরেই এই মেধাবী জানতে পারেন মুম্বইয়ের ভাবা অ্যাটমিক রিসার্চ সেন্টারে বিজ্ঞানী পদে যোগ্য লোকের সন্ধান করা হচ্ছে। এরপরেই পরীক্ষায় বসার সিদ্ধান্ত নেন সোহম।

Success Story: মাত্র 21 বছরে IPS, বাইশে IAS! কোচিং ছাড়াই দিব্যার UPSC-তে দু’বার সাফল্যের রহস্য জানেন?
লিখিত পরীক্ষায় আসে অভাবনীয় সাফল্য। তৃতীয় স্থান অর্জন করেন তিনি। এরপর ইন্টারভিউতে উত্তীর্ণ হয়ে জুনিয়র বিজ্ঞানী পদে নিযুক্ত হয়েছেন ঝাড়গ্রামের সোহম। ছেলের এই সাফল্য়ে খুশি পরিবারের সদস্যরা। সোহমের বাবা সীতাংশু মহাপাত্র পেশায় আইনজীবী। তিনি জানান, এই সিদ্ধান্তে সন্তানের পাশে রয়েছেন তিনি।

Chandrayaan 3 Update: চাঁদের দেশে পাড়ি চন্দ্রযান ৩-এর, অবদান রয়েছে বীরভূমের চাষীর ছেলেরও
সোহম বলেন, “বেসরকারি সংস্থায় অত্যন্ত ফাস্ট ডেলিভারি দিতে হত। ভাবনার সময় ছিল না। আমি এমন কিছু করতে চেয়েছিলাম যেখানে আমি ভাবনা চিন্তা করার সুযোগ পাব। চাকরি ছাড়ার পর অনেকেই মনে করেছিলেন আমাকে কাজ থেকে বার করে দেওয়া হয়েছে। তবে আমার রিসার্চ করাই লক্ষ্য ছিল। সেই জন্যই আমি ভেবেছিলাম গেটের থেকে ভালো অপশন হতে পারে না। এদিকে তখনই ভাবাতে সুযোগ পাই। পরীক্ষা দিয়ে চিহ্নিত হই।”



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *