জানা গিয়েছে, শুক্লা দাস নামে ওই মহিলার স্বামী মারা গিয়েছেন ৫ বছর আগে। সম্প্রতি এক ব্যক্তির সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তিনি। যার জেরে সন্তানসম্ভবা হয়ে পড়েন। যদিও গর্ভস্থ সেই সন্তানকে নষ্ট করার পরিকল্পনা করেন শুক্লা। বিষয়টি জানতে পারেন শুক্লার প্রতিবেশী শান্তি মণ্ডল ও তাপস মণ্ডল নামে এক দম্পতি। শান্তি মণ্ডল আয়ার কাজ করেন। সেই সূত্রে অনেকের সঙ্গে পরিচয় রয়েছে তাঁর। তিনিই পঞ্চাসায়র থানা এলাকার বাসিন্দা ঝুমা মাঝির পরিচয় করিয়ে দেন শুক্লার। নিঃসন্তান ঝুমা জমি বিক্রি করে ২ লাখ টাকার বিনিময়ে শুক্লার কাছে থেকে তাঁর ১১ দিনের সন্তানকে কেনেন বলে অভিযোগ।
এদিকে ইতিমধ্যেই বিষয়টি জানতে পারেন, শুক্লার অপর এক প্রতিবেশী উত্তম হালদার। তিনিই নরেন্দ্রপুর থানায় এই বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে শুক্লা দাস, মধ্যস্থতাকারী শান্তি মণ্ডল ও তাঁর স্বামী তাপস মণ্ডল এবং ঝুমা মাঝিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃত শান্তি মণ্ডল ও তাঁর স্বামী কোনও শিশুবিক্রি চক্রের সঙ্গে যুক্ত কি না, সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
যদিও বিক্রির অভিযোগ মানতে নারাজ অভিযুক্ত শুক্লা দাস। তাঁর দাবি, তিনি শিশুটিকে লালনপালনের জন্য ঝুমা মাঝির হাতে তুলে দিয়েছিলেন। প্রায় একই কথা শোনা গেল ঝুমা মাঝির গলাতেও। তাঁরও দাবি, শুক্লার টাকার দরকার ছিল, তাই তাঁকে তিনি টাকা দিয়েছিলেন। আর শিশুটিকে কিছুদিন দেখাশোনার জন্য নিজের কাছে নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। অন্যদিকে মধ্যস্থতার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন শান্তি ও তাপসও। তাঁদের দাবি, শুক্লাই শিশুটিকে লালনপালন করতে পারবেন না বলে তাঁদের কাছে কান্নাকাটি করতেন। তাই তাঁরা শুধুমাত্র ঝুমার সঙ্গে শুক্লার যোগাযোগ করিয়ে দিয়েছিলেন। এই ঘটনায় তাঁরা কোনও টাকা নেননি বলেই দাবি ওই দম্পতির। এদিকে এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। শিশুটিকে উদ্ধার করে রাখা হয়েছে চাইল্ড হোমে।