Organic Farming In India: জৈব পদ্ধতিতে বিভিন্ন শাকসবজির বীজ তৈরি করে ফ্রান্সে রফতানি, বিপুল আয়ের দিশা দেখাচ্ছে রায়গঞ্জ – raiganj organisation showing new path of income through organic farming


জৈব পদ্ধতিতে চাষ নিয়ে গবেষণা। তারপর সেই পদ্ধতি শাকসবজির বীজ তৈরি করে বিপুল আয় রায়গঞ্জের এক সংস্থার। রায়গঞ্জের ওই সংস্থার জৈব পদ্ধতিতে তৈরি বিভিন্ন শাকসবজির বীজ এবারে পাড়ি দিয়েছে সুদূর ফ্রান্সে। বিদেশের মাটিতে সেই সব শাক সবজির ফলন দেখে মুগ্ধ ও প্রশংসিত রায়গঞ্জ তথা উত্তর দিনাজপুরবাসী। ফলন দেখে প্রশংসা করেছে নেটিজেনরাও।

উল্লেখ্য, জৈব পদ্ধতিতে চাষ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে চলেছে রায়গঞ্জ শহরের একটি সংস্থা । তারা মূলত রাসায়নিক মুক্ত জৈব সার ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের ফসল ধান, গম থেকে শুরু করে শাক সবজি উৎপাদনের কাজের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। ইতিমধ্যেই তাদের উৎপাদিত দ্রব্যের চাহিদা বেড়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। তাদের একটি জৈব পদ্ধতিতে উৎপাদিত দ্রব্যের স্টল রয়েছে রায়গঞ্জ শহরে। এছাড়াও সোশ্যাল মিডিয়ায় তাদের নিজস্ব ওয়েবসাইটও রয়েছে। তার মাধ্যমেই তারা জৈব পদ্ধতিতে উৎপাদিত দ্রব্য এবং বিভিন্ন ফসলের বীজ বিক্রি করে থাকে। প্রথমে রায়গঞ্জ শহরে এই ফসলের চাহিদা থাকলেও পরবর্তীকালে তা রাজ্যের বাইরে বিভিন্ন জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে। সম্প্রতি দেশের গণ্ডি পেরিয়ে তা স্থান পেয়েছে বিদেশের মাটিতে। ১ বিঘা জমিতে চাষ করার বীজ তৈরিতে খরচ প্রায় ৫-৭ হাজার টাকা। গড়ে সাত হাজার টাকা বিনিয়োগে আয়ের পরিমাণ আনুমানিক ১০- ১২ হাজার টাকা।

Tripura Queen Pineapple : ব্যবসার ‘ডেস্টিনেশন’ হবে ত্রিপুরা! GI ট্যাগ পাওয়া আনারসেই লাভের আশা

ফ্রান্সের প্যারিসে বসবাসকারী এক বাঙালি পরিবার রায়গঞ্জের এই জৈব পদ্ধতিতে উৎপাদিত বিভিন্ন শাক সবজির বীজ নিয়ে যায়। সেখানে তাদের গার্ডেনিং-এর জায়গায় তারা এই জৈব চাষ শুরু করে। সামান্য পরিচর্যার পর ফলন হওয়ায় তারা সামাজিক মাধ্যমে তাদের উৎপাদিত ফসলের ভিডিও আপলোড করে যা নজর কাড়ে নেটিজেনদের। তবে রায়গঞ্জে নিজেদের উৎপাদিত দ্রব্য বিদেশে পাড়ি দেওয়ায় বেজায় খুশি ফিয়ামের সদস্যরা।

Flower Cultivation : মহার্ঘ্য ফুল, বাড়তে পারে আরও দাম! আশঙ্কার সুর চাষিদের গলায়

কীভাবে হয় এই চাষ?

সেই সংস্থার সদস্য তন্ময় দাস জানিয়েছেন, “বর্তমান সময়ে সাধারণ মানুষ অনেক সচেতন হয়েছে রাসায়নিক সারের প্রয়োগে উৎপাদিত ফসল খেয়ে মানুষের শরীরে বিভিন্ন রোগ দেখা দিচ্ছে। সে কারণেই এখন জৈব সারের উৎপাদিত দ্রব্যের চাহিদা বাড়ছে। আমরা জৈব পদ্ধতিতে বিভিন্ন ধরনের ফসল উৎপাদন করে থাকি। এবং তা আমরা সাধারণ মানুষের কাছে আমাদের স্টল এবং সামাজিক মাধ্যমে তুলে ধরি। বাজারজাত দ্রব্যের থেকে আমাদের তৈরি দ্রব্যের দামের খুব একটা ফারাক নেই। কোন দ্রব্যের দাম একটু বেশি, কোনটার আবার কম। তা সত্ত্বেও আমাদের তৈরি বিভিন্ন ফসল এবং বীজের চাহিদা বাড়ছে। এতদিন পশ্চিমবঙ্গের বাইরে বিভিন্ন জায়গায় আমাদের তৈরি দ্রব্য গেলেও, এবারে তা বিদেশে পাড়ি দিয়েছে। ফ্রান্স ছাড়াও ইউরোপ ও আমেরিকাতেও আমাদের তৈরি ফসলের বীজ আমরা পাঠাতে পেরেছি।” এই জৈব পদ্ধতিতে উৎপাদিত ফসল এবং বীজ বিক্রি করে তারা লাভবান হয়েছেন বলেই দাবি তাদের।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *