প্রসঙ্গত, গত বছর বাঁকুড়া শহরেই প্রায় ৩০০ জন ডেঙ্গি আক্রান্ত হন। তবে শহরবাসীর একাংশের দাবি, নিয়মিত নিকাশী নালা পরিষ্কার, বিভিন্ন অংশে নোংরা আবর্জনা পরিষ্কার না হওয়াতেই মশার উপদ্রব বাড়ছে। তাঁরা প্রত্যেকেই আতঙ্কিত বলে জানান।
এই বিষয়ে পুতুল খাঁ নামের এক বাসিন্দা বলেন, ‘বাড়ির পাশেই বড় ড্রেন রয়েছে। আগে নিয়মিত তা পরিষ্কার করা হলেও বর্তমানে ঠিকঠাকভাবে পরিষ্কার করতে দেখা যাচ্ছে না। মাঝে মধ্যেই বৃষ্টি হচ্ছে, আর সেই কারণে ড্রেনটিতে জল জমছে, ফলে মশার বাড়বাড়ন্ত হচ্ছে। এদিকে প্রশাসনের নজর দেওয়া উচিৎ।’
জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ শ্যামল সরেন বলেন, ‘বাঁকুড়া জেলায় চলতি বছরে মোট ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ৫০ ও বাঁকুড়া পুর এলাকাতে সেই সংখ্যা মাত্র ১৫ জন। সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে একজন ডেঙ্গি আক্রান্ত শিশু ভর্তি রয়েছে।’ ডেঙ্গি ও ম্যালেরিয়া প্রতিরোধে স্বাস্থ্য দফতর প্রয়োজনীয় সমস্ত ধরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে বলেও তিনি জানান।
ডেঙ্গি মোকাবিলায় বিশেষ ইউনিট চালু করেছে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ। আলাদা করে বেড বরাদ্দ করা না হলেও পৃথক চিকিৎসক ইউনিট বরাদ্দ করা হয়েছে। মজুত রাখা হচ্ছে সমস্ত চিকিৎসা সরঞ্জাম ও প্রয়োজনীয় ওষুধ। বাঁকুড়া সহ আশপাশের জেলাগুলির ডেঙ্গি আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজও।
ইতিমধ্যেই বিভিন্ন বিভাগের চিকিৎসককে নিয়ে একটি বিশেষ মেডিক্যাল ইউনিট তৈরি করা হয়েছে। চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধ, চিকিৎসার সরঞ্জাম ও প্লেটলেট মজুত করা হয়েছে। মেডিক্যাল কলেজের তরফে জানানো হয়েছে, ডেঙ্গি মোকাবিলার জন্য সবরকম প্রস্তুতি রাখা হয়েছে।
এদিকে, বাঁকুড়া পুরসভার চেয়ারম্যান অলকা সেন মজুমদার বলেন, ‘আমরা যথেষ্ট সতর্ক আছি। শহর জুড়ে সর্বত্র নোংরা আবর্জনা দ্রুত পরিষ্কার করা হবে। জোরকদমে কাজ চলছে।’ ব্লক এলাকায় বিক্ষিপ্তভাবে এই ধরণের দু’একটি ঘটনা নজরে এসেছে বলে তিনি জানান। তবে সার্বিক দিক দিয়ে গোটা জেলায় জেলায় বাড়ছে সংক্রমণ।