এই বিষয়ে স্থানীয় এক মৎস্যজীবী বলেন, ‘আমরা প্রায় দিনই এখানে মাছ ধরি। বিগত কয়েকদিনেও ধরেছি। কিন্তু তাতে রহস্যজনক কিছু মেলেনি। তবে আজ জাল ফেলে কিছুক্ষণ পরে দেখি জাল ভারি লাগছে। সাধারণত মাছ উথলে এত ভারী হয় না। এরপর জাল তুলে দেখি একটি বাক্স উঠে এসেছে’।
স্থানীয় এক BJP নেতা এর দায় চাপিয়েছেন শাসকদল তৃণমূলের উপর। তিনি বলেন, ‘এই এলাকায় ভোটের দিন যথেষ্ট হিংসা চালিয়েছে তৃণমূল। যেই দেখেছে বাজারগাঁও ১ গ্রাম পঞ্চায়েতে আমাদের জয়ের সম্ভাবনা বেশি, ঠিক তখনি আমাদের দলের কর্মী এজেন্টদের মারধর করে বুথ থেকে বের করে এই ব্যালট বক্স জলে ফেলে দিয়েছে।
সন্ত্রাস ও তৃণমূল এখন সমার্থক শব্দ হয়ে গিয়েছে’। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। করণদিঘি বিধানসভার এক তৃণমূল নেতা বলেছেন, ‘ভোটের দিন যত গণ্ডগোল সব করেছে BJP। আমাদের এতে কোনও হাত নেই। BJP হেরে যাচ্ছে দেখে ওদের দলের কর্মীরাই ব্যালট পেপার সমেত বক্স তুলে নিয়ে গিয়ে পুকুরে ফেলে দিয়েছে’।
উল্লেখ্য, এক সপ্তাহ আগেই গাজোলের গণনাকেন্দ্র থেকে ৩ টে সিল করা ব্যালট বক্স উদ্ধার করা হয়। বাদুড়িয়া, কৃষ্ণগঞ্জ থেকেও উদ্ধার হয় ব্যালট বক্স। নিয়মানুযায়ী গণনার সময় সমস্ত বৈধ ব্যালট গুনে প্রার্থীদের ভোটের ফল জানাতে হয়।
বিরোধীদের অভিযোগ, উদ্ধার হওয়া ৩ টে ব্যালট বক্সে ভর্তি ছিল ব্যালট পেপার। সেগুলো গণনার সময় খোলাই হয়নি। এত ব্যালট পেপার না গুনে কীভাবে কোনও প্রার্থীকে জয়ী ঘোষণা করা হল? কার মদতে এই বেআইনি কাজ হল তা প্রকাশ্যে আনার দাবি তুলেছে বিরোধীরা।