স্থানীয়দের দাবি এলাকার নিকাশি ব্যবস্থা তেমন মজবুত নয়। তাছাড়া এলাকায় যে নিকাশি নালা রয়েছে তা যথাযথ ভাবে সাফাই করে না বাঁকুড়া পুরসভার কর্মীরা। এর ফলে বর্ষার জল খানা, খন্দ ও নর্দমায় জমে রয়েছে। সেখানেই দ্রুত হারে বাড়ছে মশার লার্ভা। এলাকায় ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণে আজ থেকে বাঁকুড়া পুরসভা অল আউট অভিযান শুরু করে।
পুরসভার স্বাস্থ্য কর্মী, সাফাই কর্মী, কীটনাশক স্প্রে করার কাজে যুক্ত কর্মী সহ পুরসভার সমস্ত দফতরের আধিকারিকরা একযোগে অভিযান চালিয়ে বেশ কিছু মশার লার্ভার নমুনা সংগ্রহ করেন। স্থানীয়রা পুরসভার দিকেই আঙুল তুলছে। পুরসভা নিয়মিত এলাকায় সাফাই করেনি বলে সাধারন মানুষের অভিযোগ।
এলাকার প্রতিটি বাড়ি ঘুরে সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি সমীক্ষা চালিয়ে জ্বরের রোগী রয়েছে কিনা সে ব্যাপারে খোঁজ খবর নেওয়া হয়। পুরসভার তরফে এলাকায় নিকাশির সমস্যা কার্যত স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে।
পুরসভার দাবি খুব শীঘ্রই এলাকার নিকাশি ব্যবস্থা ঢেলে সাজানোর পাশাপাশি এলাকার মানুষের সচেতনা বৃদ্ধির মাধ্যমে ডেঙ্গি মোকাবিলা করার ব্যাপারে সর্বশক্তি দিয়ে চেষ্টা চালানো হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দা মহম্মদ আমীর এই বিষয়ে বলেন, ‘পুরসভা যদি কদিন আগে থেকে এই উদ্যোগ নিত তাহলে আমাদের এভাবে আতঙ্কের মধ্যে থাকতে হত না। আমাদের এই এলাকায় প্রচুর মশা।
আগেরবারের কাণ্ড থেকে পুরসভা কোনও শিক্ষাই নেয়নি’। বাঁকুড়া পুরসভার পুরপ্রধান অলকা সেন মজুমদার বলেন, ‘কিছু জায়গায় ঘাটতি রয়েছে। কিন্তু জোরকদমে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে কাজ চালানো হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের বলব একটু ধৈর্য রাখতে ও নিজেদের সচেতন হতে। যত্রতত্র জল জমা করবেন না, আর কোথাও ময়লা আবর্জনা ফেলবেন না’।