অসুস্থ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে দেখে বেরিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ‘এখন অনেকটাই ভালো আছেন বুদ্ধদেববাবু। ওঁর জ্ঞান আছে ভালোই। আমাকে দেখে হাত নাড়লেন।’ একইসঙ্গে হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যবস্থা সম্পর্কে তিনি প্রশংসা করেন। বলেন, ‘ওঁকে এখন ভেন্টিলেশন থেকে বার করা হয়েছে। তবে বাইপ্যাপ সার্পোটে আছেন। আমার মনে হয় প্যারামিটারগুলো অনেকটাই ঠিক আছে। তবে সে ব্যাপারে বিস্তারিত জানাবেন চিকিৎসকেরা। ওঁর জন্য বোর্ড গঠন করা হয়েছে।’
এরপর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে দাঁড়িয়ে চিকিৎসক সৌতিক পণ্ডা জানান, ‘আমরা বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে ভেন্টিলেশন সার্পোট থেকে বাইরে বার করে আনার চেষ্টা করছিলাম। এদিন সকাল থেকে সে প্রক্রিয়া চলছিল। অবশেষে তাঁকে সফলভাবে ভেন্টিলেশনের বাইরে আনা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত যা শারীরিক অবস্থা, তাতে আমরা খুশি। আমরা প্যারামিটারগুলো মনিটর করছিলাম। আমরা আবার নন-ইনভেনশিভ ভেন্টিলেশনে ফিরে যেতে পেরেছি। ভেন্টিলেশন খুলে নেওয়ার পর থেকেই তাঁর শারীরিক প্যারামিটারগুলির উপর আমরা নজর রাখছি। এখন পর্যন্ত স্থিতিশীল আছেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। সারাক্ষণ নজরদারি চলছে। প্যারামিটারগুলির ওঠা নামা নোট করা হচ্ছে।’ একইসঙ্গে তিনি জানান, ‘আগামী ২৪ ঘণ্টা বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’ তবে চিকিৎসকদের বিশ্বাস, যে ধরনের উন্নতি এখনও পর্যন্ত দেখা গিয়েছে, তাতে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য এই কঠিন সময় পার করতে পারবেন বলে তাদের আশা।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন বিধানসভা থেকে সরাসরি হাসপাতালে পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘড়ির কাঁটায় ৪টে ১০ নাগাদ হাসপাতালে পৌঁছন এবং ৪টে ২৫ নাগাদ বুদ্ধবাবুকে দেখে বাইরে আসেন তিনি। এই সময়ের মধ্যে তিনি অসুস্থ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে দেখা ছাড়াও তাঁর চিকিৎসকদের সঙ্গেও কথা বলেন। রবিবারই তৃণমূল রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ জানিয়েছিলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হাসপাতালে দেখতে না গেলেও একজন দায়িত্ববান অভিভাবিকার মতো বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের প্রতি সময়ের খোঁজ রাখছেন।