কিন্তু, ট্রেনের কামরায় বসে পড়াশোনা করানোর চিন্তা মাথায় এসেছিল রায়গঞ্জ শহরের ২৩ নং ওয়ার্ডে অবস্থিত বীরনগর জিএসএফপি স্কুল কর্তৃপক্ষের। তাঁদের ধারণা ছিল, ওই পন্থায় শিশুদের আকৃষ্ট করা সম্ভব। তাই খুদে পড়ুয়াদের মন কাড়তেই এবারে ট্রেনের কামরার ধাঁচে সাজিয়ে তোলা হয়েছে ওই স্কুলের ক্লাসরুমগুলি।
শুধু তাই নয় গোটা মডেলটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘বীরনগর এক্সপ্রেস’। সত্যিই বেশ এক পৃথক চিন্তাধারা, বলছেন অভিভাবকরা। বাইরে থেকে দেখলে মনে হবে রায়গঞ্জ স্টেশনে ট্রেন দাঁড়িয়ে রায়েছে। আর তার কামরার ভিতরে কঁচিকাচাদের পঠনপাঠন চলছে।
প্রসঙ্গত, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বীরনগর জিএসএফপি স্কুলের চেহারায় আমূল পরিবর্তন এসেছে। ছাত্রছাত্রীর সংখ্যাও বেড়েছে অনেক। বর্তমানে পড়ুয়া সংখ্যা ৪২৫ জন।বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা শ্যামশ্রী ঘোষ শিক্ষারত্ন পুরস্কারেও সম্মানিত হয়েছেন। পরিকাঠামো থেকে পড়ুয়াদের রেজাল্টে, সব ক্ষেত্রেই এসেছে বদল।
বর্তমানে এলাকার প্রথম সারির স্কুলের সঙ্গে প্রতিযোগিতাও শুরু করেছে এই স্কুল। স্কুলের পরিকাঠামো থেকে শুরু করে শিক্ষা পরিসরেও বড়সড় পরিবর্তন এসেছে।
একাধিক পরিবর্তনে বেশ খুশি স্কুলের ছাত্রছাত্রী থেকে অভিভাবকেরা। তার মধ্যে এবারের সংযোজন ‘বীরনগর এক্সপ্রেস’। আজ এই মডেল ক্লাসরুমের উদ্বোধন করেন পুরপ্রশাসক সন্দীপ বিশ্বাস।
উপস্থিত ছিলেন প্রধান শিক্ষিকা শ্যামশ্রী ঘোষ, সহ শিক্ষক নিমাই সিংহ রায় সহ অন্যান্যরা। এই ধরনের উদ্যোগকে কুর্নিশ জানিয়েছেন পুরপ্রশাসক সন্দীপ বিশ্বাস। তিনি বলেন, ‘এই ধরনের অভিনব উদ্যোগ শুধু রায়গঞ্জেই নয়, গোটা রাজ্যে প্রথম।’ স্কুলের সহ শিক্ষক নিমাই সিংহ রায় বলেন, ‘প্রতি বছরই সরকার কর্তৃক গৃহীত স্কুলের উন্নয়ন তহবিল থেকে নানান ধরনের সৌন্দর্য্যায়নের ব্যবস্থা করা হয়। এই বছরের চমক ছিল এই অভিনব ক্লাসরুম। সকলের সম্মতিতে শুরু হয়েছিল কাজ। অবশেষে তা সফল ভাবে সম্পন্ন হয়। মূলত পড়ুয়াদের আরও বেশি করে স্কুলমুখী করতেই এমন চিন্তাভাবনা।’
অপরদিকে পড়ুয়ারা এমন সুন্দর ও মজাদার ক্লাসরুম দেখে অবাক। এক পড়ুয়া বলেছে, ‘ট্রেন স্কুলে বসে পড়াশোনা করতে বেশ ভালো লাগে। আর তাই রোজ রোজ স্কুলে আসতেও উৎসাহ পাচ্ছি আমরা।’