Digha Shankarpur Beach : নতুন করে সেজে উঠছে শঙ্করপুর, এই প্রকল্পে বরাদ্দ ১৩ কোটি টাকা! – shankarpur fishing harbour dredging and renovation work will be start by central government funding


শঙ্করপুরের বাসিন্দাদের জন্য সুখবর। এবার ঢেলে সাজানো হবে রামনগরের শঙ্করপুর মৎস্যবন্দর। তার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, হাত দেওয়া হবে ড্রেজিংয়ের কাজে। ফলে উপকৃত হবেন বন্দরের বিপুল সংখ্যাক মৎস্যজীবী। এছাড়া পানীয় জলের ব্যবস্থা, রাস্তার ও আলোর উন্নয়ন থেকে শুরু করে বেশকিছু পরিকাঠামোগত কাজও করা হবে বলে খবর।

জানা যাচ্ছে, বন্দরের ড্রেজিংয়ের কাজের জন্য কিছুদিন আগে কেন্দ্রীয় সরকারের মৎস্য যোজনা প্রকল্পের অধীনে ১৩ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। আগামী কিছুদিনের মধ্যেই টেন্ডার-সহ অন্যান্য সরকারি প্রক্রিয়ার কাজ শুরু হবে। এই বন্দরের সমস্যাগুলির মধ্যে অন্যতম হল নাব্যতা কমে যাওয়া। অভিযোগ, দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় পলি জমে সমুদ্রগামী খালে এবং মোহনার কাছে বিরাট অংশজুড়ে চরার সৃষ্টি হয়েছে। আর সেই চরাতে মাঝে মধ্যেই ধাক্কা লেগে উলটে যায় ট্রলার। তাতে ট্রলারগুলি যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তেমনই নষ্ট হয় প্রচুর পরিমান মাছ। এমনকী অনেক সময় তো ভাটা চলাকালীন চরায় ট্রলার আটকে গেলে, তা বের করতে জোয়ারের জন্য অপেক্ষা করতে হয়। আবার কখনও তো এমন পরিস্থিতির তৈরি হয় যে, জোয়ারের সময় ছাড়া সমুদ্রে যাত্রাই করতে পারে না ট্রলার ও লঞ্চগুলি। আর সেই কারণেই দীর্ঘদিন ধরে ড্রেজিংয়ের দাবি জানিয়ে আসছিলেন লঞ্চ এবং ট্রলার মালিকরা।

Hilsa Fishing Trawler : ইলিশ সংগ্রহে গিয়ে ফের সমুদ্রে ট্রলার ডুবি, উদ্ধার ৮ মৎসজীবী
অর্থনৈতিক গুরুত্ব যথেষ্টই
প্রসঙ্গত, ১৮ হেক্টর জায়গার ওপর গড়ে তোলা হয়েছে শঙ্করপুর মৎস্যবন্দর। কাঁথিতে যে মৎস্যবন্দরগুলি রয়েছে, তারমধ্যে এটিই সবচেয়ে পুরনো। এই বন্দর থেকে প্রায় ৩০০ নথিভুক্ত ট্রলার লঞ্চ ও অন্যান্য জলযান সমুদ্রে যাতায়াত করে। অর্থনৈতিক দিক থেকেও এই বন্দরের গুরুত্ব অপরিসীম। মৎস্যজীবী-সহ কয়েক হাজার মানুষের রুজি-রোজগার এই বন্দরের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত।

Digha Beach : ১২ কোটি ব্য়য়ে দিঘায় তৈরি হচ্ছে এই কেন্দ্র, আমুল পরিবর্তন হবে সৈকত শহরের
নতুন বরফকল ও জেটি তৈরির পরিকল্পনা
শঙ্করপুর মৎস্যবন্দরের শুধু নাব্যতাই নয়, অন্যান্য পরিকাঠামোগুলিরও সংস্কার করা হবে বলে জানা যাচ্ছে। বন্দরে রয়েছ ২টি জেটি ও ৪টি বরফকল। তবে সেই বরফকলগুলি পুরনো হয়ে গিয়েছে। সেক্ষেত্রে সেই বরফকলগুলির পরিকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি নতুন আরও একটি বরফকল তৈরি করা হবে বলেও জানা যাচ্ছে। পাশাপাশি আগামীদিনে বাড়ানো হবে জেটির সংখ্যাও। সেক্ষেত্রে নতুন কর্মসংস্থানও হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এছাড়াও বন্দরের কর্মীদের কোয়ার্টারও তৈরি করা হচ্ছে নতুন করে। বদলে দেওয়া হবে বিকল হয়ে যাওয়া রাস্তার আলোগুলি। একইসঙ্গে বন্দরের রাস্তাঘাট ও পানীয় জল সংক্রান্ত সমস্যাগুলিরও সমাধান করা হবে বলে জানা যাচ্ছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *