ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এই এলাকার পর্যটন ব্যবসাও৷ যেই সমস্ত হোম স্টে গুলি ছিল সবই জলোচ্ছ্বাসে ক্ষতিগ্রস্ত বলে জানা গিয়েছে৷ এই এলাকার বটতলা নদীবাঁধেও জল ঢুকে নানান এলাকায় প্লাবিত হয়েছে৷ সেখানে প্রায় ২০০ মিটার নদীবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত বলে জানা গিয়েছে৷ পূর্ণিমা ও দ্বিতীয়ার ভরা কোটালে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সাগর ব্লকের মন্দিরতলা, চকফুলডুবি, মনিসামারী ও মুড়িগঙ্গা ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের বেশ কিছু এলাকা৷ চকফুলডুবিতে প্রশাসনের ভরসায় বসে না থেকে স্থানীয় বাসিন্দারাই ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ মেরামতির কাজে হাত লাগিয়েছেন৷ জোয়ারের কারণে জলমগ্ন কপিলমুনির আশ্রমের মন্দির চত্বরও৷
সমস্ত পর্যটককে হোটেলের মধ্যে থাকতে বলা হয়েছে৷ খালি করে দেওয়া হয়েছে মন্দির সংলগ্ন এলাকা৷ সমুদ্রে কাউকেই নামতে দেওয়া হচ্ছে না৷ কাকদ্বীপের তিলোকচন্দ্রপুর এলাকাতেও নদীবাঁধ ভেঙে জল ঢোকায় ১০০টির মত পরিবারকে অন্যত্র সরানো হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন৷
ফ্রেজারগঞ্জ এলাকাতেও বাঁধ ভাঙার আশঙ্কা করছেন এলাকার বাসিন্দারা৷ আজ সকাল থেকে অবশ্য বৃষ্টি হয়নি৷ তবে অনেক জায়গাতেই মেঘলা আকাশ৷ তবে ঝোড়ো হাওয়া বইছে৷ তাই জোয়ারের সময় এই ঝোড়ো হাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধের ভাঙন আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা এলাকাবাসীদের৷
সাগরের BDO সুদীপ্ত মণ্ডল বলেন, ‘প্রশাসন প্রস্তুত আছে যে কোনও পরিস্থিতির জন্য৷ আমরা বাঁধ মেরামতির কাজেও হাত দিয়েছি৷ ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে৷ রিপোর্ট জমা পড়লেই দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে’৷
কাকদ্বীপের স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেছেন, ‘যেসব জায়গায় নদীবাঁধের ক্ষতি হয়েছে, সব জায়গায় এখনও প্রশাসন পৌঁছতে পারেনি। যেমন আমাদের গ্রামেই এখনও পর্যন্ত কেউ আসেননি। তাই আমরা নিজেরাই বাঁধ মেরামতের কাজে হাত দিয়েছি। প্রার্থনা করছি যেন বেশি বৃষ্টি না হয়। তাহলে বাঁধ মেরামত কোনও কাজে লাগবে না’।