একইসঙ্গে অভিযোগ অবরোধকারী জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে লাঠি হাতে স্কুল কম্পাউন্ডেও ঢুকে পড়ে পুলিশ। প্রধানশিক্ষক সহ শিক্ষকেরা বেরিয়ে এসে কথা বলেন পুলিশের সঙ্গে। অভিভাবকদের সঙ্গে বচসা বেধে যায় র্যাফের। প্রথমে স্কুল ক্যাম্পাস থেকে কাউকে বেরতেই দেওয়া হচ্ছিল না। পরে পড়ুয়াদের স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন অভিভাবক ও শিক্ষকেরা। তখন পড়ুয়াদের স্কুলের পিছনের গেট দিয়ে অভিভাবকদের সঙ্গে বেরতে দেওয়া হয়। দেখা যায় নাকে রুমাল চাপা দিয়ে স্কুল থেকে বেরিয়ে আসছেন পড়ুয়ারা।
বড়িশা হাইস্কুলের পঞ্চম শ্রেণীর পড়ুয়া বেরিয়ে জানান, ‘আচমকা একটা আওয়াজের পর ক্লাস রুম ধোঁয়ায় ভরে যায়। চোখ জ্বলতে শুরু করে। বন্ধুরা সব কাশছিল। ভয়ে কেউ কেউ কাঁদতে শুরু করেন। কারও কারও শ্বাসকষ্ট শুরু হয়ে গিয়েছিল। দিদিমণিরা আমাদের সাহস দিচ্ছিলেন। ভয় পেতে বারণ করছিলেন।’
ভোর সাড়ে ৬টা নাগাদ দুর্ঘটনায় ৭ বছরের স্কুল ছাত্রের মৃত্যুতে রণক্ষেত্র বেহালা চৌরাস্তা। উত্তেজিত জনতা আগুন লাগিয়ে দেয় পুলিশের ভ্যানে। ডায়মন্ড হারবার ট্র্যাফিক গার্ড পুলিশের চারটি বুলেটে ধরিয়ে দেওয়া হয় আগুন। জনতার রোষ থেকে বাঁচেনি ট্রাফিক গার্ডের অফিস, চৌরাস্তা পুলিশ ফাঁড়িও। সেখানেও আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। তছনছ করে দেওয়া হয় ট্রাফিক গার্ডের অফিস। ভিতরের সব জিনিস বাইরে এনে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। মোবাইলে ছবি তুলতে গেলে মার, মোবাইল ভাঙচুর চলতে থাকে। অন্তত ৩০টি লোকের মোবাইল ভাঙা হয়েছে। এই উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতেই কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটানো হয় ও লাঠিচার্জ করা হয়।
আরও তথ্যের জন্য রিফ্রেশ করুন…
