নরেন্দ্রপুর থানা এলাকার সুকান্তপল্লীর বাসিন্দা সোমনাথ চক্রবর্তী ও তার বোন মীনাক্ষী চক্রবর্তী। ভাই-বোন দু’জনেই থাকতেন ওই বাড়িতে। দুজনেই অবিবাহিত এবং তাদের বয়স পঞ্চাশ বছরের বেশি। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রকাশ ঘোষ নামে এক ব্যক্তিকে তাঁরা বাড়ি ভাড়া দেন। স্ত্রী, ছেলে ও পুত্রবধূকে নিয়ে ওই বাড়িতে থাকত প্রকাশ। দীর্ঘদিন ধরে ভাড়াটিয়ারা সোমনাথ ও তাঁর বোন মীনাক্ষীর উপর অত্যাচার চালাত বলে অভিযোগ।
স্থানীয়দের অভিযোগ, সোমনাথ ও মীনাক্ষীর কোনও উত্তরাধিকারী না থাকার কারণে প্রকাশ ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা বাড়ি দখল করার চেষ্টা করে। নানারকমভাবে বয়স্ক ভাই ও বোনের উপর অত্যাচার করা হত ৷ তাদের হেনস্থাও করা হত ৷ এই বিষয় একাধিকবার তারা থানাতেও জানিয়েছিলেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, বৄহস্পতিবার মীনাক্ষী চক্রবর্তী দুপুরের দিকে ব্যাঙ্কে গিয়েছিলেন৷ তাঁর আরও কিছু কাজ ছিল বলে বাড়ি ফিরতে রাত হয় ৷ বাড়ি ফিরে তাঁর দাদা সোমনাথ চক্রবর্তীকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখেন৷ দাদাকে এই অবস্থায় দেখে তিনি চিৎকার করে ওঠেন। মীনাক্ষীর চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা এসে জড়ো হন। এই ঘটনা জানাজানি হতে ক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকার বাসিন্দারা ৷ এই ঘটনার পর গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে বোন মীনাক্ষী। প্রতিবেশীরা তাঁকে উদ্ধার করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ। গভীর রাতে পুলিশ এলে তাদেরকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখানো হয়।
শুক্রবার মৃত সোমনাথের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় নরেন্দ্রপুর থানায় দাদাকে খুনের লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন বোন মীনাক্ষী। ঘটনার তদন্তে নেমে আজ সকালে ভাড়াটিয়া প্রকাশ ঘোষ ও তার ছেলে সুদীপ ঘোষকে গ্রেফতার করেছে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ ৷ ধৄত প্রকাশ ঘোষের স্ত্রী রুবি ঘোষ বলেন, ‘এই ঘটনার সঙ্গে আমাদের কোনও যোগ নেই ৷ আমাদের অকারণে ফাঁসানো হচ্ছে ৷ বিভিন্ন কারণে ভাই-বোনের মধ্যে অশান্তি হত, সেই কারণে এমন হয়ে থাকতে পারে।। এমনকী আমরা যে জায়গায় বসবাস করেন, সেটা টাকা দিয়ে কিনে নিয়েছি।’