সূত্রের খবর, গত ২১ ও ২২ জুন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য দফতরের একটি দল এই হাসপাতালের ৯টি বিভাগ পরিদর্শন করেন। তাদের সেই পরিদর্শনে হাওড়া জেলার জয়পুরের এই গ্রামীণ হাসপাতাল ৭৭.০৫ শতাংশ নম্বর পয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের বিচারে বিভূতি ভূষণ ধর গ্রামীণ হাসপাতাল সার্ভিস প্রভিশনে ৮০ শতাংশ,পেশেন্ট রাইটস বিভাগে ৮১ শতাংশ, সার্পোট সার্ভিসে ৭৯ শতাংশ, ক্লিনিকাল সার্ভিসে ৭৮ শতাংশ, ইনফেকশান কন্ট্রোলে ৬৭ শতাংশ এবং কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্টে ৭৮ শতাংশ নম্বর পেয়েছে।
হাসপাতাল কেন্দ্রীয় সরকারের স্বীকৃতি পাওয়ায় খুশী হাসপাতালের চিকিৎসক থেকে স্বাস্থ্য কর্মীরা। হাসপাতালের সুপার সুকান্ত বিশ্বাস জানান, আমরা আমাদের সাধ্যমত পরিষেবা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। কেন্দ্রীয় সরকারের স্বীকৃতি পাওয়ায় আমাদের দায়িত্ব আরও বৃদ্ধি পেল। বিধানসভা এলাকার গ্রামীণ হাসপাতাল কেন্দ্রীয় সরকারের স্বীকৃতি পাওয়ায় ভীষণই খুশী বিধায়ক সুকান্ত পাল। তিনি জানান, ‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের উদ্যোগে ভগ্নপ্রায় এই গ্রামীণ হাসপাতালকে নতুনভাবে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। বর্তমানে ৬০ শয্যার এই গ্রামীন হাসপাতালে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত প্রসূতি বিভাগ,অক্সিজেন ব্যাঙ্ক নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়াও হাসপাতালের নিজস্ব কিচেন গার্ডেন এবং হাসপাতালের পরিত্যক্ত জমিতে পুকুর খনন করে মাছ চাষের ব্যবস্থা করা হয়েছে।’ সকলের সমবেত প্রচেষ্টায় এই সাফল্য এসেছে বলে জানান বিধায়ক সুকান্ত পাল।
সম্প্রতি গ্রামীণ এলাকায় নাগরিকদের উন্নত স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য দফতরের স্বীকৃতি পেয়েছে হাওড়া জেলারই আরও একটি স্বাস্থ্য কেন্দ্র। নাগরিকদের উন্নত স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে দেশের উৎকর্ষতা মান স্পর্শ করল হাওড়া জেলার বাউড়িয়া প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র। স্বাস্থ্য দফতরের মূল্যায়নে সামগ্রিকভাবে উলুবেড়িয়া পুরসভার বাউড়িয়া প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র ৭৯.৮ শতাংশ নম্বর পেয়েছে। তবে শুধু উলুবেড়িয়া পুরসভা এলাকার বাউড়িয়া নয়, রাজ্যের আরও ১৮ টা পুরসভা এলাকার প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র এই উৎকর্ষতা মান স্পর্শ করেছে।