প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে ভারতের স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে কেন্দ্রীয় সরকার সারা ভারতবর্ষ ব্যাপী অমৃত মহোৎসব নামে এক কর্মসূচি গ্রহণ করে। যার মধ্যে ভারতীয় রেলকে নথিভুক্ত করা হয়। অমৃত মহোৎসব পরিকল্পনাকে সামনে রেখে কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব, অত্যাধুনিক মানের রেল স্টেশন তৈরি করার জন্য সারাদেশে ১৩০৯ টি রেলওয়ে স্টেশনকে চিহ্নিত করেন।
মোট ৫০৮টি রেলওয়ে স্টেশনের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের ৩৭ টি রেলস্টেশনের নাম উঠে আসে। যার মধ্যে নদিয়ায় বেথুয়াডহরী, কৃষ্ণনগর সিটি, নবদ্বীপ ধাম এবং শান্তিপুর রেলওয়ে স্টেশনে রবিবার সকাল ১১টায় এই প্রকল্পের ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
সামগ্রিকভাবে এই প্রকল্পটির বাস্তবায়নের জন্য ২৪৪৭০ কোটি টাকারও বেশি বরাদ্দ করছে কেন্দ্রীয় সরকার। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, যাত্রী সুরক্ষা থেকে শুরু করে যাত্রীদের স্বাচ্ছন্দ্যের কথা মাথায় রেখে আন্তর্জাতিক মানের এই রেলওয়ে স্টেশনগুলিতে ফুট ওভারব্রিজ সহ এস্কেলেটর ও স্টেশন চত্বরে বিনামূল্যে ফাইভ-জি ওয়াইফাই জোন ছাড়াও বেশ কিছু বড় আকৃতির এলইডি স্ক্রিন তৈরি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
পাশাপাশি লোকাল ট্রেন ও দূরপাল্লা ট্রেনের টিকিট কাউন্টার থাকলেও সংখ্যা বৃদ্ধি করা হবে স্বয়ংক্রিয় ভেন্ডিং মেশিনের। স্থানীয়দের কর্মসংস্থানের দিকে নজর রেখে রেলের অধীনস্থ জমি কাজে লাগিয়ে স্টেশন ভবনের দ্বিতলে গড়ে তোলা হবে মার্কেট প্লেস বা একাধিক দোকানঘর।
এখানেই শেষ নয়, স্টেশনে আসা-যাওয়ার জন্য প্রয়োজন মত আন্ডার পাস ছাড়াও বিভিন্ন যানবাহনের ক্ষেত্রে পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা হবে। এছাড়াও যাত্রী সুরক্ষার তাগিদে হেল্প লাইন কাউন্টার সহ প্রাথমিক চিকিৎসা ব্যবস্থা ও বিনোদন সহ শিশুদের বিশেষ প্রতীক্ষালয় ছাড়াও শারীরিকভাবে বিশেষ চাহিদা সম্পন্নদের জন্য গড়ে তোলা হবে বিশেষ ব্যবস্থা।
সম্পূর্ণ প্রকল্পটি দীর্ঘমেয়াদি হলেও প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের মধ্যে দিয়ে এই প্রকল্পের কাজ শুরু করা হল রবিবার থেকে। যার ফলে এই দিন সকাল থেকেই নদিয়ার বেথুয়াডহরী, কৃষ্ণনগর সিটি জংশন, নবদ্বীপ ধাম এবং শান্তিপুর রেলওয়ে স্টেশন চত্বরে বিভিন্ন সংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠিত হয় অমৃত ভারত প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। উপস্থিত ছিলেন পূর্ব রেলওয়ে দফতরের বিভিন্ন স্তরের আধিকারিক সহ রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ জগন্নাথ সরকার ও রেল যাত্রী সমিতির প্রতিনিধি ছাড়াও আরপিএফ এবং জিআরপির কর্মকর্তারা।