Jadavpur University Student Death: ‘ফোনে বলেছিল অনেক কিছু বলার আছে…’, যাদবপুরে ছাত্রের রহস্যমৃত্যুতে র‌্যাগিংয়ের অভিযোগ পরিবারের – ragging complain raised on jadavpur university first year student death case


যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা অনার্সের প্রথম বর্ষের পড়ুয়া স্বপ্নদীপ কুণ্ডুর মৃত্যুতে র‌্যাগিংয়ের অভিযোগ পরিবারের। মৃত ছাত্রের পরিবারের পুলিশে যাওয়ার ভাবনা। এর আগে পুলিশের তরফেও র‌্যাগিংয়ের স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের হয়েছে। ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষ স্বপ্নদীপকুণ্ডুর মৃত্যুতে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ক্যাম্পাসে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সাফ জানিয়েছে, কোনও র‌্যাগিংয়ের অভিযোগ জানানো হয়নি। এদিকে মৃত ছাত্রের পরিবার র‌্যাগিংয়ের দাবি তুলেছেন।

Jadavpur University: ‘খুব চাপে আছি…’, ফোনে মাকে বলার কয়েক ঘণ্টা পরেই দেহ উদ্ধার যাদবপুরের পড়ুয়ার

স্বপ্নদ্বীপ কুণ্ডুর পরিবারের দাবি, স্বপ্নদ্বীপ কোনওভাবেই আত্মহত্যা করতে পারে না। র‌্যাগিংয়ের কারণ না থাকলে এমন ঘটনা ঘটত না। তাছাড়া স্বপ্নদীপ কুণ্ডুর মামা অরূপ কুণ্ডুর দাবি, প্রথম দুদিন ক্লাস করে খুব খুশি ছিল সে। কিন্তু আচমকা বুধবার স্বপ্নদীপের গলার স্বরে পরিবর্তন হয়। সন্ধেয় হঠাৎই স্বপ্নদীপ বাড়িতে বারবার ফোন করতে থাকে।

স্বপ্নদীপের বাবা জানিয়েছেন,’ ছেলেটা ফোন করে বারবার বলছিল আমার ভয় লাগছে। আমাকে এখান থেকে নিয়ে চলো। খুব চাপে আছি। তোমাদের অনেক কথা বলার আছে।’ নিহত ছাত্রেরমা বারবার জিজ্ঞাসা করেও এর বেশি কিছু জানতে পারেননি। পরের দিন সকাল হলেই তাঁরা যাচ্ছেন বলেও জানান স্বপ্নদীপের মা। রাত সাড়ে নটার পর আর ফোন তোলেনি স্বপ্নদীপ। বার বার ফোন করলেও সাড়া মেলেনি। শেষে অনেক রাতে হস্টেল থেকে ফোন করে বলা হয় স্বপ্নদীপ উপর থেকে ঝাঁপ দিয়েছে।
Jadavpur University : হস্টেল থেকে ঝাঁপ! যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ার মৃত্যুতে রহস্য

বুধবার রাত সাড়ে বারোটা নাগাদ হস্টেলের সামনে থেকে গুরুতর আহত-রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় স্বপ্নদ্বীপকে। সেসময় সেখানে উপস্থিত প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছিলেন, উপর থেকে ধপ করে কিছু পড়ার শব্দ পেয়ে সেখানে এসে স্বপ্নদীপকে ওই অবস্থায় পাওয়া যায়। এরপর কেপিসি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় কিন্তু এদিন ভোরে তাঁর মৃত্যু হয়।
Howrah Accident : ‘ফোন না ধরতেই আশঙ্কায় বুক কাঁপছিল…’, অধ্যাপিকা মেয়ের প্রয়াণে বাক্যহারা বাবা

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, ওরিয়েন্টেশন-সহ প্রথম তিনদিন ক্লাস করেছিলেন স্বপ্নদীপ। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যান্টি র‍্যাগিং কমিটিও ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। ওই সময় হস্টেলে যাঁরা উপস্থিত ছিলেন তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। হস্টেলের ঘর না পাওয়ায় আবাসিক পড়ুয়াদের সঙ্গে রুম শেয়ার করত সে। কাল রাতেও সেই রুমেই ছিল সে। তারপর কী এমন হল তা জানতেই তদন্ত করছে পুলিশও। উল্লেখ্য, বুধবার সন্ধ্যাবেলাই আচমকা নিজের ফেসবুক প্রোফাইলও ডিলিট করে দেয় স্বপ্নদীপ। মেধাবী, আপাত হাসিখুশি ছেলেটার পরিণতিতে শোকার্ত সকলেই।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *